মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এবার বন্যা পরিস্থিতিতে প্রচুর পদ্মকুড়ি নষ্ট হয়েছে। এখনই বহরমপুরের বাজারে পদ্মফুল ৩০ টাকা প্রতি পিস। পদ্মচাষিদের দাবি, চড়া দামেই হিমঘরে পদ্ম লোডিং হয়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, এবার ৪০ টাকার নীচে পদ্মফুলের দাম নামার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেই হিসেবে ১০৮ পদ্মের মালার দাম এখন চার হাজার টাকায় উঠেছে। ফলে সন্ধিপুজোয় দুর্গার গলায় পদ্মের মালা চড়াতে উদ্যোক্তাদের এবার ট্যাঁকের জোর থাকা চাই।
দুর্গাপুজোয় পদ্মফুল অন্যতম উপকরণ। পুজোর চারদিন দেবী দুর্গাকে অন্তত একটি করে পদ্মফুল নিবেদন করা হয়। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবীর পায়ে ১০৮ পদ্মের অর্ঘ্য দিতে হয়। অনেকে ১০৮ পদ্মফুলের মালা দুর্গাকে অর্পণ করেন। পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অনেকে ১০৮ পদ্ম মানসিক করে থাকেন। যার কারণে সন্ধিপুজোর আগে প্রচুর চাহিদা হওয়ায় বাজারে পদ্মের হাহাকার পড়ে যায়। আগে থেকে হিমঘরে ফুল মজুত রেখে বিক্রেতারা সেই চাহিদা মেটান। এবার হিমঘরে পদ্ম মজুত হয়েছে চড়া দামে।
বীরভূমের আমোদপুর এলাকা থেকে চাষিদের কাছ থেকে ফুল কিনে বহরমপুরে ফুল বিক্রেতাদের বিক্রি করেন তারকেশ্বর দস। তারকেশ্বরবাবু বলেন, বন্যার কারণে এবার কুড়ি অবস্থায় বহু ফুল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা পদ্মকুড়ি হিমঘরে মজুত করে রাখি। এবার ২০-২২ টাকা পিস হিসেবে কোল্ড স্টোরে ফুল মজুত হয়েছে। এরপর স্টোর ভাড়া রয়েছে। তারকেশ্বরবাবুর বক্তব্য, ফুল বিক্রেতাদের হাতে ৩০টাকা পিস হিসেবে পৌঁছবে। কিছু কুড়ি বাদও পড়বে। সব মিলিয়ে ৪০ টাকার নীচে দাম আসবেই না। উপরন্তু চাহিদা অনুপাতে দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে।
বহরমপুরের কান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুল বিক্রি করেন প্রিয়া পাল। প্রিয়াদেবী বলেন, পদ্মের আমদানি খুবই কম। যা কুড়ি উঠছে এসময় সবই হিমঘরে চলে যাচ্ছে। শুক্রবার বহরমপুরে ৩০ টাক প্রতি পিস হিসাবে বিক্রি হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি, নবগ্রাম, খড়গ্রাম, কান্দি ব্লক এলাকায় বেশ কিছু পুকুর, দিঘিতে পদ্ম চাষ হয়। এবার অতিবর্ষণে বহু ফুল নষ্ট হয়েছে। কান্দির ফুল ব্যবসায়ী রাজু কৈবর্ত বলেন, এবার দুর্গাপুজোয় পদ্ম মহার্ঘ্য হবে। এখন ১০৮ ফুলের মালার বায়না নিচ্ছি চার হাজার টাকা দরে। যত দিন যাবে দাম বাড়বে বই কমবে না।