মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
পুরুলিয়ার মহকুমা শাসক উৎপল ঘোষ বলেন, ‘দপ্তরের রিসিভিং সেকশনে একটা পদত্যাগপত্র জমা পড়েছে বলে জেনেছি। যদিও বিষয়টি এখনও বিস্তারিতভাবে দেখার সুযোগ হয়নি। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘এনিয়ে দলগতভাবে আলোচনা করা হবে। কোথাও যদি কোনও সমস্যা হয়, তা মেটানো হবে। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত চালাতে যা যা পদক্ষেপ করার, তা করা হবে।’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ হলে দল যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২১টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে জেতে তৃণমূল। যদিও তারপর থেকেই শুরু হয় কোন্দল। সমিতির ‘বিদ্রোহী’ সদস্যের একাংশের দাবি, কাল্লাবতী কুমার সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর পঞ্চায়েত সমিতিতে কার্যত একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। প্রশাসনের একাংশকে হাত করে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম করছেন।
এনিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ভালোমনি সোরেন বলেন, আমরা যখনই এনিয়ে প্রতিবাদ করতে যাচ্ছি, তখনই আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছি।
পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ সুভাষ দাস বলেন, যিনি সভাপতি হয়েছেন, তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। কিন্তু, তিনি মানুষের উন্নয়নের কাজ না করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করছেন। এখনও পর্যন্ত পূর্তদপ্তরের স্থায়ী কমিটি গঠন হয়নি। স্থায়ী সমিতিগুলির সাধারণ সভা হয় না। আমি টেন্ডার কমিটির মেম্বার, অথচ এতদিন ধরে কোনও বৈঠক ছাড়াই ১১ থেকে ১২কোটি টাকার কাজ হয়ে গেল। এনিয়ে আমরা বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। বিক্ষুব্ধ সদস্য রমেশ চন্দ্র মাহাত বলেন, পঞ্চায়েত সমিতিতে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম হচ্ছে। কিছুদিন আগে আমরা পঞ্চায়েত সমিতিতে এসব কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু,আমাদেরই মারধরে হুমকি দেয়। বলরামপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি আদিত্য মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশ করে অনিয়ম করছেন। রাস্তাঘাট থেকে ড্রেন, সব জায়গাতেই বহু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে।