মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, ‘মাদক পাচার রুখতে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। তাতেই এই সাফল্য এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেরোইন তৈরির কাঁচামাল সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী দিনেও এইভাবেই লাগাতার অভিযান চলবে।’
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ড্রাইভারের সজল মণ্ডলের বাড়ি পলাশীপাড়ার বার্নিয়া এলাকায়। শান্তি বার্ণি ও হাবিবুল মণ্ডল, কাইরুল বাসারের বাড়ি কালীগঞ্জ থানার বড় চাঁদঘর এলাকায়। পাচারের মূল পান্ডা মুকবার হোসেনের বাড়ি পলাশীপাড়া থানার নলদহ এলাকায়। নবদ্বীপের দিক থেকে চারচাকা গাড়ি করে আসছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কৃষ্ণনগরের রোড স্টেশন এলাকায় ঘাঁটি গাড়েন কোতোয়ালি থানার পুলিস। ঠিক সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গাড়িটি নবদ্বীপের দিক থেকে জাতীয় সড়ক ধরে পলাশীপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। তার আগেই পুলিস গাড়িটিকে আটক করে। ৬ কেজি ওপিয়াম নরম ক্রিস্টাল আকারে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে পুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই পলাশীপাড়া থানার পুলিস ঝাড়খণ্ড থেকে হেরোইন কাঁচামাল সরবরাহের দুজন পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা চক্রধরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই এলাকায় বন্ধু সেজে গিয়ে তাদের পুলিস পাকড়াও করে। তারা মিডলম্যানের কাজ করত। ওই এলাকায় পাহাড়ের উপরে পোস্ত চাষ হয়। যেখানে যাওয়ার অনুমতি থাকে না ব্যবসায়ীদের। তার জন্য নির্দিষ্ট মিডলম্যান থাকে। যারা পাহাড় থেকে এই ওপিয়াম নিয়ে এনে দেয় ব্যবসায়ীদের।