মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর ১১ আগে শিউলির সঙ্গে বিয়ে হয় সুমন্তর। দু’টি মেয়েও আছে ওই দম্পতির। দোমড়ায় একটি সেলুন রয়েছে সুমন্তর। তার ডাকনাম সাহেব। স্ত্রী এক বন্ধুর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ সুমন্তর। বেশ কয়েকবার বারণ করা হলেও শোনেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায়ই অশান্তি হতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সুমন্ত স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় কয়েকদিন ধরে বাপেরবাড়িতে গিয়ে ছিলেন শিউলি। তারপর শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন।
বুধবার সন্ধ্যায় চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সুমন্তর বাড়িতে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শিউলি। অভিযোগ, কাটারি দিয়ে তাঁর হাতে, গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর সুমন্ত এলাকা থেকে ফেরার হয়ে যায়। শিউলির পরিবারের তরফে কাঁকসা থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। একদিন নিরুদ্দেশ থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে কাঁকসা থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত।
সুমন্ত এদিন নিজের দোষ স্বীকার করে পুলিসকে জানায়, দোকানে কাজে ব্যস্ত থাকার সময় তার এক বন্ধু নিয়মিত বাড়িতে যেত। স্ত্রীর সঙ্গে ওই বন্ধুর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। স্ত্রীকে আগেও বারণ করেছি। মানসম্মানের ব্যাপার আছে। কিন্তু শোনেনি। আমি দোকানে খাওয়ার সময় পাই না। ও খবর নেয় দোকানে ভিড় কেমন আছে, কখন আসব। বুধবার বাড়িতে গিয়ে বন্ধুকে দেখি। আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। রাগের মাথায় এই ঘটনা ঘটেছে।
যদিও শিউলির পরিবারের তরফে পরকীয়ার সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, নিজেকে বাঁচাতে সুমন্ত একথা বলছে। শিউলি এখন চিকিৎসাধীন। শুক্রবার অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তিনদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।