মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
জামালপুরের চকদিঘি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই দম্পতি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁদের বড় ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। সেই বিষয়ে সালিশি করার জন্য চকদিঘি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আজাদ রহমান তাঁদের ডেকে পাঠান। ১৪ জুন চকদিঘি পঞ্চায়েতে সালিশি সভা বসবে বলে তাঁদের জানানো হয়। সেখানে হাজির না হলে বাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। লোক পাঠিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। ওই তৃণমূল নেতার শাগরেদরা হুঁশিয়ারি দেওয়ায় তাঁরা সালিশি সভায় হাজির হননি। তারপরই ১৪ জুন রাতে ওই নেতার লোকজন তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়।
ওই দম্পতি বলেন, ১০-১২ জন লাঠি, রড হাতে বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। সালিশি সভায় হাজির না হওয়ায় ছেলেকে তারা মারধর শুরু করে। বাধা দিতে গেলে আমাদেরও মারধর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ওদের মারে তিনজনই জখম হয়েছিলেন। পুলিস তিনজনকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায়। ওই দম্পতির ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই সালিশি সভায় যাইনি। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছি। তৃণমূল নেতা আজাদ রহমন বলেন, কোনও সালিশি সভা ডাকিনি। শুনেছি, গ্রাম্য বিবাদের জেরে ওই ঘটনা হয়েছে।
ওই দম্পতি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত না করলে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন না। ফসল জমিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে প্রাণহানি হতে পারে। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা হুমকি দিয়েই চলছে। ওদের ভয়ে আত্মগোপন করে থাকতে হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনেক দিন ধরেই ওই পরিবারে পুত্রবধূকে নিয়ে অশান্তি চলছিল। পুত্রবধূ শ্বশুড়বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করেন। শাসক দলের নেতাদের কাছেও তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ যায়। এরপরই ওই নেতা সালিশি সভা ডাকে। জামালপুর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওই পরিবারটির উপর গ্রামের লোকজন ক্ষুব্ধ ছিল। গ্রাম্য বিবাদের জেরে ওই ঘটনা হয়েছে।