আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের উচালন গ্রামের ফিরিঙ্গি পুকুরের জল ব্যবহার করে তিন দিনে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যেকের পায়খানা, বমি, পেট ব্যথা শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিনদিনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫জন গ্রামবাসী ভর্তি হয়েছেন। এলাকার বাসিন্দা সহদেব ঘোষ বলেন, তিনদিন ধরে গ্রামের মানুষগুলো অসুস্থ পড়ছে। অথচ কোনও পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র এনিয়ে হেলদোল নেই। অসুস্থদের নিজেদের উদ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। পঞ্চায়েতে অ্যাম্বুল্যান্স থাকা সত্ত্বেও সেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। আরও এক বাসিন্দা বাসন্তী দাস বলেন, আমাদের বাড়ির একজন অসুস্থ। বারবার বলার পরও কেউ কিছুই ব্যবস্থা নেয়নি। স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেও কিছু করা হচ্ছে না। যদিও গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উচালন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক গোলাম মোস্তাফা বলেন, পুকুরের দূষিত জল ব্যবহারের কারণে সমস্যা হয়েছে বলেই আমাদের মনে হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কারও কোনও ক্ষোভ থাকার কথা নয়। এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। যাদের সমস্যা বেশি তাঁদের আমরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখানেও কয়েকজন আছেন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।
যদিও এদিন গ্রামবাসীরা স্বাস্থকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত এজন্য সহযোগিতা করেনি। নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। যদিও রায়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এলাকায় এসে মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করে অসুস্থদের চিকিৎসা চলছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আনিসুর রহমান খান বলেন, অ্যাম্বুল্যান্স পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া হয়নি এই অভিযোগ ঠিক নয়। তিন দিন ধরে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবা সঠিকভাবে হচ্ছে। প্রথম দিনেই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিয়েছি। এদিন অবশ্য অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে পাওয়া যায়নি।