আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মন জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠান। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা পঞ্চায়েত আইনকে অমান্য করে নিজস্ব নামে ও বেনামে লক্ষ লক্ষ টাকার ঠিকাদারি করছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে থেকে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টেও তিনি ঠিকাদারির কাজে যুক্ত। তিনি নিজে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঠিকাদারি করার কথা স্বীকার করেছেন। এই অভিযোগ করার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ফুটেজ ও ঠিকাদারি সংক্রান্ত কাগজপত্র তথ্যপ্রমাণ হিসেবে পেশ করেন।
জয়দেববাবু বলেন, ওঁর এই বিপুল টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে হল তা জানতে চেয়ে দলের সভাপতিকে আগেই চিঠি দিয়েছি। কোন জাদু বলে উনি মাত্র আট বছরে এই বিপুল অর্থের মালিক হলেন তা ব্লকের মানুষ জানতে চান। ওঁর ঠিকাদারি সংক্রান্ত প্রমাণ আমি জেলাশাসককে পাঠিয়েছি। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী সভাপতি ঠিকাদারি করতে পারেন না।
এবিষয়ে দিবাকরবাবু বলেন, জয়দেব বর্মন লাগাতার মিথ্যা অভিযোগ করছে। ব্যক্তিগত হিংসা থেকে এসব করছেন। উনি আমার রাজনৈতিক উত্থান সহ্য করতে পারছেন না। আমি কোথাও সরাসরি ঠিকাদারি করি না। প্রয়োজনে আমি প্রশাসন ও জনগণের সামনে সমস্ত অভিযোগের জবাব দেব। আমি সমস্ত রকম তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরে শেখ হাসিবুল নামের এক ব্যক্তি তমলুক থানায় তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু রায় ও ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চামেলি সামন্তের নামে লিখিত অভিযোগ জানান। তাতে তিনি বলেছেন, আমাকে বাড়ি দেওয়ার কথা বলে কিছু কাগজপত্রে সই করানো হয়। ওঁরা আমার নামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলান। কিন্তু, পাসবই ও চেকবই ওঁরা জোর করে আমার কাছ থেকে নিয়ে নেন। এরপর ১৯টি ফাঁকা চেকে দু’টি করে সই করিয়ে নেন। কয়েক মাস বাদে সন্দেহ হওয়ায় আমি চেক বই ও পাসবই চাইলে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে আমি ব্যাঙ্কে গিয়ে ডুপ্লিকেট পাসবই বের করে দেখেছি, আমার সই করা চেক জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে।
এবিষয়ে কাউন্সিলার চামেলি সামন্ত বলেন, একবারে মিথ্যা অভিযোগ। রাজনৈতিক ভাবে ষড়যন্ত্র করে এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। দিব্যেন্দু রায় বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিজেপির উস্কানিতে উনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত হলে সমস্ত সত্য ঘটনা প্রকাশ পাবে।