আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা ২ ব্লকের ভবানীচক থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ১৫কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তায় জীনন্দপুর সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। জেলা পরিষদের আওতায় থাকা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তার উপর দিয়ে বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। এছাড়া রাস্তার পাশে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বাজার রয়েছে। বেহাল রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ব্লক প্রশাসন সহ সমস্ত মহলে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছাড়াও অটো ও টোটো চালকরা এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাস্তা অবরোধে শামিল হন। অবরোধের জেরে রাস্তার দু’পাশে ট্রেকার, পণ্যবাহী লরি সহ অন্যান্য গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিস এসে অনেক চেষ্টা করেও অবরোধ তুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ব্লক প্রশাসন তথা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এবিষয়ে এগরা¬-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ প্রধান বলেন, বেহাল রাস্তার বিষয়ে আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। রাস্তা সংস্কারে জন্য আমরা জেলা পরিষদে অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছি। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, কোলাঘাট ব্লকের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাইন থেকে গঙ্গামাড়ো পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সামান্য বর্ষা হলেই মাটির এই রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই রাস্তাটি রূপনারয়ণ নদীর পাড় হয়ে মাছিনান পর্যন্ত গিয়েছে। এলাকার সালুকা, কোফলা, মাড়োবেড়িয়া, গঙ্গামাড়ো সহ মোট আটটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রাস্তাটি পিচের করার দাবি জানান এলাকাবাসী। কিন্তু, বারবার জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা দ্রুত রাস্তা তৈরির দাবিতে সকাল ১০টা থেকে কোলাঘাট জশাড় রোডের রাইন বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে রাস্তায় তীব্র যানজট শুরু হয়। খবর পেয়ে কোলাঘাট থানার পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু, অবরোধে অনড় থাকেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবিমতো বিডিও মদন মণ্ডল ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। আন্দোলনকারী মফিজুল হোসেন বলেন, বিডিও সাহেবের আশ্বাস মতো দ্রুত রাস্তা সারানো না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।