মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
অতিরক্তি জেলাশাসক (সাধরণ) ধীমান বাড়ই বলেন, কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে সাধারণ ও পুলিস প্রশাসন জেলার বাজারগুলিতে যৌথ অভিযানে যায়। সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণ, গুণগতমান যাচাই করার পাশাপাশি বাজার চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি দেখা হয়েছে। এসডিও, বিডিও’রা ছিলেন অভিযানে।
ময়নাগুড়ি বাজারে সব্জি, মাছ-মাংসের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ ক’দিন ধরেই উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বাজারে টহল দেয় পুলিস, ব্লক প্রশাসন ও কৃষিদপ্তর। প্রশাসনিক আধিকারিকরা ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেন, অতিরিক্ত দামে কোনও পণ্য বিক্রয় করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা থেকে শুরু করে আলু, বেগুন সহ অন্যান্য সব্জির দাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়িয়ে রাখা হয়েছে। বেশকিছু মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে গত ক’দিনে। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, প্রশাসনের এই উদ্যোগ ভালো। কেউ আনাজপাতির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রশাসন গ্রহণ করতেই পারে। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে সেই ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়াব না। ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, এদিন থেকে বাজারে টহল শুরু করেছি। প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে অভিযান চলবে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়ালে আইন মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিন ধূপগুড়ির সুপার মার্কেট সহ খুচরো দোকানগুলি ঘুরে দেখেন ধূপগুড়ির এসডিও পুষ্পা দোলমা লেপচা। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা পুলিস আধিকারিক গিলসেন লেপচা সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ভোলা সরকার বলেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালির জন্য সব্জির দাম বেড়েছে। প্রতিবছরই পুজোর সময় সব্জির চাহিদা বাড়ায় দাম বৃদ্ধি পায়। খুচরো ও পাইকারি বাজারের মধ্যে যাতে দামের পার্থক্য আকাশ-পাতাল না থাকে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান এসডিও।
এদিন ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ির বাজারে শসা ৫০-৬০ টাকা, আলু ৩০-৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০-৯০ টাকা, টম্যাটো ৮০-১০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হয়। দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় সেই ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।