মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এক সপ্তাহ আগে জমি মামলায় দেবাশিসকে গ্রেপ্তার করে এনজেপি থানার পুলিস। তারা ধৃতের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, ধৃতের একটি ঠিকাদারি বা কনস্ট্রাকশন সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থাকে সামনে রেখেই জমির বেআইনি কারবারে নেতৃত্ব দিতেন তিনি। তার মূল টার্গেট ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন বিতর্কিত জমি কিংবা দীর্ঘদিন ধরে পতিতজমি কব্জা করা। এজন্য তৃণমূল দলকে সামনে রেখে একটি বাহিনীও গড়েন তিনি। শুধু ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নয়, ডাবগ্রাম ও ফুলবাড়ির খাস জমিও তাঁর গ্যাং হজম করেছে বলে অভিযোগ।
পুলিসের এক অফিসার বলেন, ধৃতের গ্যাংয়ের সদস্যদের অধিকাংশই শাসক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। কয়েকজন আবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সঙ্গেও জড়িত। গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়িয়ে ফাঁকা জমি চিহ্নিত করত। সুযোগ বুঝে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে, বাঁশ পুঁতে কিংবা লোক বসিয়ে সেই সব জমি কব্জা করত। প্রয়োজন পড়লে মালিককে হুমকি দিয়ে জমি দখল করা হতো। এরপর জাল নথি বানিয়ে সেই সব জমি হজম করা হতো বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে ধৃতের ঠিকাদারি ব্যবসাও পুলিসের আতসকাচের নীচে। ইতিমধ্যে পুলিস ধৃতের সংস্থার বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিস সূত্রের খবর, ধৃতের ঠিকাদারি সংস্থা সরকারি ও বেসরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টাকায় রাস্তা তৈরি করে ওই সংস্থা। সেই রাস্তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর সেই সংস্থাকে ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করেছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। ধৃতের সংস্থার গুডউইল সম্পর্কেও খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এমনকী জমি কারবারের কোটি কোটি টাকা ওই সংস্থার ব্যানারে রিয়েলএস্টেট, পরিবহণ সহ বিভিন্ন ব্যবসায় ধৃত খাঁটিয়েছেন বলে তথ্য মিলছে। পুলিসের এক অফিসার বলেন, জমির বেআইনি কারবারের টাকা কিভাবে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে ধৃত খাটাতেন তা জানার চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে মেলা তথ্যগুলি বিভিন্ন দিক থেকে যাচাই করা হচ্ছে। গত ২৬ জুলাই এক মহিলার অভিযোগর ভিত্তিতে দেবাশিসকে গ্রেপ্তার করে এনজেপি থানার পুলিস। এরপর বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে তোলা হয়। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আরএক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ফের হেফাজতে নেয় পুলিস। জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জমি সংক্রান্ত কারবারের পাশাপাশি ধৃতের ব্যবসা, সম্পত্তি সহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিস কিছু তথ্য পেয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে।