মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের দ্বন্দ্বের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। অভিযোগ, এরই মধ্যে রেজিস্ট্রার তাঁর অফিস রুমের তালা ভেঙে ঢুকে পড়েছেন। এনিয়ে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাকে ঘিরে জেলার শিক্ষামহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ও রেজিস্ট্রার দুই শীর্ষ আধিকারিকের এধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে আন্দোলনকারী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সহ জেলার শিক্ষানুরাগীর। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনকে ঘিরে আগামী দিনে জেলাজুড়ে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞমহল। যদিও এদিন শিক্ষাকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির কোচবিহার জেলা সভাপতি জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, আমরা একাধিক দাবিতে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করছি। এবারের আন্দোলন পাঁচ দিনে পড়ল। এখনও পর্যন্ত উপাচার্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা কেউ আলোচনার জন্য ডাকেননি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতেই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরির জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা দায়ী। তাঁদের উদাসীনতার জন্য এধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উপাচার্য ও সাসপেন্ড হওয়া রেজিস্ট্রার ও এক শিক্ষাকর্মীর মামলার তদন্তে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন জেলা পুলিসের আধিকারিকরা। এদিন আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়নি পুলিস। কোচবিহার কতোয়ালি থানার আইসি তপন পাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পাওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যাওয়া হয়েছিল। এদিন নতুন করে কেউ অভিযোগ জানাননি।
অপরদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ অধ্যাপক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটানোর আবেদন জানান। অধ্যাপকদের পক্ষে মাধবচন্দ্র অধিকারী বলেন, এই অচলাবস্থা কাটাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথম যেদিন ঝামেলা হয় সেদিন সেখানে আমিও ছিলাম। ক্যাম্পাসে বা অফিস চত্বরে জাতি বিদ্বেষমূলক আচরণ কেউ করেননি। বাইরে কেউ করে থাকলে জানা নেই। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বজায় রাখতে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠা জরুরি।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্য অধ্যাপকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জীব রায়, সাবলু বর্মন প্রমুখ।