মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
১৯৬৮ সাল। বস, বসের স্ত্রী এবং তাঁদের দুই সন্তানকে খুন এবং ডাকাতির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন হাকামাদা। সেই সময় এই মামলা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল গোটা জাপান জুড়ে। তাঁর এই ‘অপরাধের’ জেরে জাপানের শিজুকাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর বাড়িও।
জানা যাচ্ছে, সেই সময় একটি স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করেই হাকামাদাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এমনকী তাঁকে কোনও আইনজীবীর উপস্থিতি ছাড়াই জেরা করা হয়। হাকামাদার মামলাটি জাপানের সবচেয়ে বিতর্কিত একটি আইনি লড়াই ছিল। ১৯৮০ সালে জাপানের সুপ্রিম কোর্ট হাকামাদাকে অপরাধী ঘোষণা করে। তবে তাঁকে অপরাধী প্রমাণে যে তথ্য ব্যবহৃত হয়েছিল, তা নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধে। শুধু তাই নয়,হাকামাদাকে যেসব বিচারকরা শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যেই একজন ২০০৮ সালে জানিয়েছিলেন, হাকামাদা নির্দোষ। পাশাপাশি তাঁর পুনর্বিচারের দাবিও করেছিলেন ওই বিচারক। ২০১৪ সালে একটি আদালত হাকামাদাকে মুক্তি দেয় এবং একটি পুনর্বিচার মঞ্জুর করে। আদালত জানায়, নতুন করে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাচ্ছে, প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত পোশাকের রক্ত আর হাকামাদার রক্তের ডি এন এ-র মধ্যে কোনও মিলই নেই। তবে এই পুনর্বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আরও ১০টা বছর কেটে যায়। অবশেষে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ শিজুকা জেলা আদালত হাকামাদাকে বেকসুর খালাস করে।