মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে ৯০ মিনিটের ওই বিতর্কের আবহ যে যথেষ্ট উত্তপ্ত, তার আভাস মেলে শুরুতেই। ৭৮ বছরের ট্রাম্প বা ৮১ বছরের জো বাইডেন কেউই একে অপরের সঙ্গে সৌজন্যমূলক করমর্দন পর্যন্ত করেননি। দর্শকহীন স্টুডিওতে কয়েক ফুটের দূরত্বে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে শুরু হয় বিতর্ক। অর্থনীতি, বিদেশনীতি, দেশের অভিবাসন জটিলতা ও মার্কিন গণতন্ত্রের মতো বিষয়ে একে অপরকে আক্রমণ করেন।
বিতর্ক চলাকালীন দু’জনের কেউই একে অপরকে বিন্দুমাত্র রেয়াত করেননি। পরস্পরকে ‘মিথ্যেবাদী’র পাশাপাশি আমেরিকার ইতিহাসের অযোগ্যতম প্রেসিডেন্ট বলেও কটাক্ষ করেন। বাইডেনের জমানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হাল, গর্ভপাতের অধিকার, কর, স্বাস্থ্য পরিষেবা, এমনকী আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মতো বিষয়ে কড়া আক্রমণ শানান ট্রাম্প। অন্যদিকে, ট্রাম্পের সময়ে দেশের কোভিড নীতি, ক্যাপিটল হিংসার মতো ঘটনা ও ফৌজদারি মামলায় ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে পাল্টা সরব হন বাইডেন। যৌন নিপীড়নের দায়ে রিপাবলিকান প্রার্থীকে যে আদালত জরিমানা করেছে, সেই প্রসঙ্গও তোলেন বাইডেন। ট্রাম্পের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট। তার অভিযোগ, ট্রাম্পের আমলে অর্থনীতির পতন শুরু হয়েছে। ট্রাম্প কোভিড পরিস্থিতিও ঠিকমতো সামলাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাল্টা জবাব দেন ট্রাম্পও। জানান, দেশে মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী বাইডেন। অথচ আমি যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম, তখন কোনও মুদ্রাস্ফীতি ছিল না। এই পরিস্থিতির ফলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন দেশের কৃষ্ণাঙ্গ সহ একাধিক অংশের মানুষ। অনুপ্রবেশকারীরা এই মানুষদের কাজ কেড়ে নিয়েছে। যদিও নিজের আমলে চাকরির সুযোগ বেড়েছে বলে দাবি করেন বাইডেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আজীবন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কাজ করেছি আমি। কিন্তু এরকম মিথ্যে কথা বলতে কাউকে দেখিনি। উনি আপনার চোখের দিকে তাকিয়েও মিথ্যে বলতে পারেন।’
আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল রিপাবলিকান প্রার্থী মেনে নেবেন কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে। ট্রাম্প জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ফলাফল মানতে আপত্তি নেই তাঁর। এর পরেই ট্রাম্প জানান, ২০২০ সালের নির্বাচনে রিগিং হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। বিতর্কে বাইডেনের জয় হয়েছে বলে দাবি করেন ডেমোক্র্যাটরা। একই দাবি শোনা যায় রিপাবলিকানদের গলাতেও। যদিও শেষ পর্যন্ত যুযুধান দুই প্রার্থীর বিতর্কে ট্রাম্পই এগিয়ে বলে মত অধিকাংশ মার্কিনিদের।