মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রঃ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত ১৮ মাসে কোনও আক্ষেপ?
উঃ বেশ কিছু ক্ষেত্রে আরও কাজ করা যেতে পারত। যেমন— ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) ওয়েটিং লিস্ট যদি আরও কমাতে পারতাম, ভালো হতো। মানুষ যেন প্রয়োজনের সময় এনএইচএসের সুবিধা পায়, তা সুনিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। আমরা এই খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াচ্ছি। আরও বেশি সংখ্যক ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে ওয়েটিং লিস্ট কমছে।
প্রঃ ধনী হওয়ার জন্য আপনাকে বারংবার আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। অভিবাসী হিসেবে আপনি ও আপনার পরিবার অনেক পরিশ্রম করেছেন। কেন বিষয়টিকে নিজের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেননি?
উঃ কাজ দিয়েই মানুষ আমাকে বিচার করবেন। কোভিডের সময় প্রত্যেককে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমার বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের ভালো জীবনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এর জন্য ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। যে সমস্ত মানুষরা তাঁর পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, তাঁদের প্রশংসা করা উচিত। সরকারের উচিত তাঁদের পাশে থাকা।
প্রঃ বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন এশীয় বংশোদ্ভূত ভোটাররা। এই ভোটারদের কীভাবে নিজেদের দিকে টানবেন?
উঃ এবারের নির্বাচনে প্রত্যেকের কাছে বেছে নেওয়ার স্পষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমি এই ৫৬ লক্ষ ভোটারকে অনুরোধ করব, আগামী ৪ জুলাই চোখ বুজে ভোট দিতে যাবেন না। লেবার সরকার ক্ষমতায় এলে আপনার এবং আপনার পরিবারের নিরাপত্তার কী হবে, তা একবার ভেবে দেখবেন। সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবে চিন্তা করুন। বহু মানুষ ভালো জীবনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আমি ফের নির্বাচিত হলে তাঁদের কর কমাব। আরও সহজে ব্যবসা শুরু করার পাশাপাশি সহজে নতুন বাড়িও কিনতে পারবেন তাঁরা। পরিশ্রমী মানুষজনের কর কমাতে বদ্ধপরিকর আমরা। লেবাররা ক্ষমতায় এলে কিন্তু করের পরিমাণ বাড়বে।
প্রঃ দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য কি আপনার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
উঃ গত কয়েক বছর যথেষ্ট কঠিন ছিল। কিছু মানুষ তা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এটা উপ নির্বাচন নয়। তাই যত হতাশাই থাক না কেন, লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে কী হবে, সেই বিষয়টি আপনাকে ভাবতে হবে। আমি গত ১৮ মাস ধরে এই পদে রয়েছি। এই ১৮ মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে মজুরি। ক্ষমতায় ফিরলে এই যাবতীয় কর্মকাণ্ড বজায় থাকবে।
প্রঃ কনজারভেটিভ পার্টি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, সেক্ষেত্রে কি অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করবেন?
উঃ আমরা শুধুই জয় নিয়ে ভাবছি। প্রতিটা ভোট যাতে আমাদের ঝুলিতে আসে, তার জন্য লড়াই করছি। কনজারভেটিভ প্রার্থী নন, এমন কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ কেয়ার স্টারমারকে মসনদের দিকে এক পা এগিয়ে দেওয়া। সুতরাং নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য আমাদেরই ভোট দিন।