মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে ইস্যু ছিল, ‘পরোক্ষ কর-জিএসটি।’ ক্যাগের দেওয়া ২০২৪ সালের একটি রিপোর্টই ছিল বিরোধীদের অস্ত্র। তৃণমূলের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায় এবং সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁদের প্রশ্ন, রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন দেরি হচ্ছে? কর আদায়ই বা এত কম কেন? আইজিএসটি অর্থাৎ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ব্যবসার কর আদায়ে জমা অর্থ নিয়েও তাঁরা চেপে ধরেন।
ক্যাগ রিপোর্টেই প্রকাশ, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২, এই চার অর্থবর্ষে আইজিএসটি বাবদ কেন্দ্রের কাছে জমা হয়েছে ৩২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। সেই অর্থ কেন্দ্রের কনসলিডেটেড ফান্ডে পড়ে আছে। সেই টাকার প্রাপ্য অংশ কেন রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না? কেন বঞ্চনার শিকার হচ্ছে রাজ্যগুলি? কেন্দ্র-রাজ্য কে কত পাবে, সেই ভাগাভাগি পর্যন্ত কেন হয়নি? রাজস্বসচিবকে চেপে ধরেন তৃণমূল এমপি সুখেন্দুশেখর রায়। সূত্রে খবর, কোনও উপযুক্ত জবাব সচিব দিতে পারেননি।
অন্যদিকে, বিজেপির এমপি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জিএসটি রূপায়ণের সমালোচনা করেন। বলেন, জিএসটি চালু হলে কেন্দ্র এবং রাজ্য, উভয়েরই রাজস্ব বাড়বে বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। তবে কি কোথাও জিএসটি আদায়ে ফাঁক থেকে যাচ্ছে? জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রেও সরকারি ব্যবস্থায় কমজোরি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আর এক বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে।
বিজেপির অন্য এক এমপি অপরাজিতা সারেঙ্গি অডিট রিপোর্টের প্যারা ধরে ধরে সরকার যে জবাব দেয়নি, তা উল্লেখ করেন। সূত্রে খবর, সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে লিখিত জবাব দেব। আর কম কর আদায়ের যে অভিযোগ উঠছে, তার কারণ হল, লোকবল কম। তবে এখন ধীরে ধীরে নিয়োগ হচ্ছে। যদিও অর্থমন্ত্রকের আমলাদের সাফাইয়ে সন্তুষ্ট নয় পিএসি।