মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও বেহাল। তা স্পষ্ট হয়েছে সিএমআইই-র কনজিউমার পিরামিডস হাউসহোল্ড সার্ভেতে। সেই রিপোর্ট বলছে, গত মে মাসে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। জুনে তা একধাক্কায় বেড়ে ৯.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বছর এই মাসে তা ছিল ৮.৮ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে পুরুষদের বেকারত্বের হার মে মাসে ছিল ৫.৪ শতাংশ। জুনে তা বেড়ে ৮.২ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে তা একধাক্কায় পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাসে তা ছিল ১২ শতাংশ। সেটা জুনে ১৭.১ শতাংশে পৌঁছেছে। সরকারি তথ্য বলছে, শহরকে ছাপিয়ে গ্রামীণ অঞ্চলে রকেটের গতিতে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি। তার মধ্যেই এবার রোজগারের সুযোগের অভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সংসারে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার খুব বেশি বাড়েনি। গত মে মাসে শহরে এই হার ছিল ৮.৬ শতাংশ। জুনে তা হয়েছে ৮.৯ শতাংশ। গ্রামের মতো শহরেও মহিলাদের বেকারত্বের হার অনেকটাই বেড়েছে। মে মাসে ছিল ১৮.৫৩। জুনে বেড়ে হয়েছে ২১.৩৬ শতাংশ। সারা দেশের হিসেবে মহিলাদের কর্মহীনতার হার জুনে ছিল ১৮.৫ শতাংশ। জাতীয় গড়ের তুলনায় তা অনেক বেশি।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে রোজগারের অভাব সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। নিত্যদিনের সংসার জোয়াল টানতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে মানুষের। সরকারি তথ্যেই জানা গিয়েছে, পারিবারিক সঞ্চয়ের পরিমাণ রেকর্ড হারে কমেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ধারদেনার বোঝা। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের কাছে অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল কর্মসংস্থান ও মূল্যবৃদ্ধি। সম্প্রতি ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের (এনএসও ) সমীক্ষাতেও অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের বেহাল ছবি দেখা গিয়েছে। এমনকী তা কোভিড পর্বের আগের পর্যায়েও পৌঁছতে পারেনি।