মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হাতরাসের ঘটনার তদন্তে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে সরকার। জেলাশাসক আশিস কুমার বলেন, প্রত্যেকের দেহ শনাক্ত করার পর তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। হাতরাস নিয়ে শোকবার্তা এসেছে সুদূর মস্কো থেকে। পদপিষ্টে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ, শুক্রবার হাতরাসে যেতে পারেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
হাতরাসে ভোলেবাবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে আমজনতার। স্বঘোষিত ধর্মগুরু পোস্টার ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। স্লোগান উঠেছে ‘ভোলেবাবা নিপাত যাক।’ পরিচিতদের খোঁজে ঘটনাস্থলে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন। আবার অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। উর্মিলা দেবী তাঁর ১৬ বছরের নাতনিকে সৎসঙ্গে এসেছিলেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না বৃদ্ধার। হাতরাস, এটার জেলা হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজেও পরিজনরা তাঁর সন্ধান পাননি। মাকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন মইনপুরির বাসিন্দা মীনেশ কুমার। তিনি বলেন, মায়ের বয়স হয়েছে। তাঁকে বাবার আশ্রমে যেতে নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু গ্রাহ্য করেনি। মাকে খুঁজে পেলে কখনই সেখানে যেতে দেব না। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য যোগী প্রশাসনকে দায়ী করেছেন তিনি। হাতরাসের ভোলেবাবার ‘অলৌকিক’ ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভক্তরা। অধিকাংশের মুখে এখন একটাই কথা, বাবার যদি সত্যি ক্ষমতা থাকত, তাহলে সবাই প্রাণ বেঁচে যেতেন।