নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শপথগ্রহণ শেষ। লোকসভার প্রথম অধিবেশনে সমাপ্ত। এবার আসছে বাজেট। সুতরাং আর অপেক্ষা নয়। নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা করতে এনডিএ সরকারে দুই প্রধান শরিক এবার চাপ বাড়াতে শুরু করল। হায়দরাবাদ থেকে চন্দ্রবাবু নাইডু ঝটিকা সফরে দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। এতদিন তিনি নিজে কিছুই বলেননি দাবিদাওয়া নিয়ে। এনডিএ সরকারকে সমর্থনের বিনিময়ে কী চাইছেন, এরকম কোনও বিবৃতিও দেননি। তাঁর দলের এমপিরা আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে তাঁরা জানিয়েছিলেন, এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর নাইডু জানান, অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য আর্থিক প্যাকেজ চাইলাম। প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, আমাদের রাজধানী নির্মাণ করতে হচ্ছে। বিগত সরকার বিপুল ঋণ রেখে গিয়েছে। সবমিলিয়ে নতুন করে অন্ধ্রপ্রদেশকে গড়ে তুলতে হবে। সেই কারণে হয় আমাদের বিশেষ রাজ্যের স্টেটাস দেওয়া হোক। অথবা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক আসন্ন বাজেটে অথবা তার আগে। এদিকে একা চন্দ্রবাবু নন। সংযুক্ত জনতা দলের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা দিল্লি থেকে বৃহস্পতিবারই পাটনায় পৌঁছেই জানিয়েছেন, আমাদের বিশেষ রাজ্যের স্টেটাস অথবা আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হোক। অর্থাৎ একই দাবি।
প্রসঙ্গত, দেখা যাচ্ছে, চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশকুমার তাঁদের রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের স্টেটাস দেওয়ার দাবিতে আর অনড় নেই। এখন তাঁদের নবতম দাবি হল, যদি একান্তই বিশেষ রাজ্যের স্টেটাস না দেওয়াও হয়, তাহলে অন্তত আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হোক দ্রুত। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এর কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রক সম্ভবত ইতিমধ্যেই তাঁদের বার্তা দিয়েছে যে, বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া সম্ভব হবে না। অতএব এখন মুখরক্ষার একমাত্র উপায় এই দুই রাজ্যকে আর্থিক প্যাকেজ দিতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করে ৩৪ রাজ্যের মধ্যে মাত্র দুটি রাজ্যকে পৃথকভাবে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া যাবে বলে মনে হয় না। অর্থ কমিশনের বিধিনিয়মে আটকে যাবে। তাই এখন ফর্মুলা খোঁজা হবে, কীভাবে এই দাবি মেনে নেওয়া যায়। কিছু একটা উপহার না পেলে সবথেকে বড় সমস্যা হবে নীতীশকুমারের। কারণ তাঁকে আর আটমাসের মধ্যেই সম্মুখীন হতে হবে নির্বাচনের। চন্দ্রবাবু নাইডু সেদিক থেকে নিরাপদে। কারণ তাঁর সামনে কোনও ভোট নেই।