গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
শুধুমাত্র মুখের কথাতেই নয়। বাস্তবে কাজেও তা করে দেখাচ্ছেন হরিয়ানার আন্দোলনকারী কৃষকরা। একপ্রকার অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে বিজেপির নেতাকর্মীদের। গ্রামাঞ্চলে পদে পদে গেরুয়া শিবিরের প্রচার বাধা পাচ্ছে। কোথাও কোথাও ঘিরে রাখা হচ্ছে বিজেপি নেতাদের বাড়ি কিংবা দলের কার্যালয়। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর, গ্রামে প্রচারের কাজে ঢুকতেই রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে গেরুয়া ব্রিগেড। কুরুক্ষেত্র চষে বেরিয়েই তা স্পষ্ট। আন্দোলনকারীদের দাপটে বিজেপির যাবতীয় হাঁকডাক সীমাবদ্ধ কুরুক্ষেত্রের শহুরে এলাকাতেই। পিপলি রোডের ধারে শহরের একটি জমজমাট স্থানে নির্বাচনী কার্যালয় খুলেছে বিজেপি। ঢোকার মুখেই দু’টি প্রমাণ সাইজের কাট-আউট। একটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, অন্যটি কুরুক্ষেত্রে দলের প্রার্থী নবীন জিন্দলের। জাঁকজমকে কোনও খামতি নেই। কিন্তু সব ছাপিয়ে নবীনের পরিচয় এলাকাবাসীর কাছে একটিই। দলবদলু! বিজেপির অন্দর থেকে পরিষ্কার, কৃষক ইস্যুর পাশাপাশি এই দলবদলু-এজেন্ডা তাদের চাপে রেখেছে।
আপ প্রার্থী করেছে সুশীলকুমার গুপ্তাকে। ইস্যু একটিই। ‘জেল কি জবাব ভোট সে’। লড়াইয়ে রয়েছে আইএনএলডি’ও। প্রার্থী অভয় চৌতালা। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটেই কুরুক্ষেত্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন নবীন। ২০১৪ সালে হারের মুখ দেখতে হয় তাঁকে। এবার ভোটের আগে শিবির বদলে বিজেপি আসেন তিনি। আর দলে যোগদানের দিনই তাঁকে কুরুক্ষেত্র আসনের টিকিট দেয় বিজেপি। কিন্তু আদতে কি এর কোনও সুফল মিলবে? রাজ্যে দশে কত? আপাতত এই হিসেব মেলাতেই ব্যস্ত গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ২০১৯ সালে হরিয়ানায় বিরোধীদের ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিল যে দল, পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেই বিজেপির অন্দরে দশে-কত’র চর্চাই এখন এই ভোটমুখী রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণ!