দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
যদিও বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি বারংবার জামাই শব্দটি উচ্চারণ করছেন, তিনি কে? নাম বলুন? নির্মলা বলেছেন, আমি নাম বলব না। সকলেই জানেন। বস্তুত ট্যাক্সেশন সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় আজ অর্থনীতির গভীর সঙ্কট নিয়ে প্রতিটি দলই উদ্বেগ প্রকাশ করে জানতে চায়, সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। অর্থমন্ত্রী অবশ্য সঙ্কট যে আছে সেকথা একবারও উল্লেখ করেননি। বরং তিনি ইউপিএ সরকারের আমলের জিডিপি এবং আর্থিক ঘাটতির পরিসংখ্যান উল্লেখ করে প্রমাণ করার মরিয়া প্রয়াস করেন যে, এই পরিসংখ্যান আগেও গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ২০১২ সালে জিডিপি বৃদ্ধিহার ৪.৩ শতাংশ হয়েছিল। কিন্তু তার পরের বছরই সেটা হয় ৭.৩ শতাংশ। তার অর্থ হল ৪.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে এক ধাক্কায় সাড়ে ৭ শতাংশ হওয়া সম্ভব। সুতরাং এখন সাড়ে ৪ শতাংশ নিয়ে এত উদ্বেগ কেন? অর্থমন্ত্রী আজ ঘোষণা করেছেন, আর এক বছরের মধ্যে দেশে শিল্পস্থাপন আর লগ্নির জোয়ার আসতে চলেছে। আগামী বছরের পর থেকেই ভারত হয়ে উঠবে উৎপাদন শিল্পের ভরকেন্দ্র।
শিল্পপতি রাহুল বাজাজকে আজ রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভাবে উত্তর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। রবিবার একটি অনুষ্ঠানে বাজাজ গোষ্ঠীর কর্ণধার রাহুল বাজাজ অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই বলেছিলেন, এই সরকারের আমলে একটা ভয়ের পরিবেশ কাজ করছে। শিল্পমহলের সকলেই সরকারকে সমালোচনা করতে ভয় পায়। সকলেই ভাবছে সরকারের নীতির সমালোচনা করা হলে বিপদে পড়তে হবে। সেদিনই অমিত শাহ বলেছিলেন, এই ধারণা ভুল। বরং আমরা চাইব সকলে আমাদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিক। আমরা শুনতে আগ্রহী।
আজ একধাপ এগিয়ে লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, আমাদের সরকার সমালোচনা শোনে এবং প্রশ্ন করা হলে উত্তর দেয়। আমরা বসে আছি শোনার জন্য। কিন্তু আগে থেকেই কেউ যদি একটা ধারণা নিয়ে প্রচার করে যে সরকার সমালোচনা শোনে না, তা হলে সেটা কিন্তু দেশের স্বার্থবাহী নয়। অর্থনীতির সঙ্কট নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের আমলেই সাধারণ গরিবের হাতে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের আমলে ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। আমাদের আমলেই আর্থিক ঘাটতি সবথেকে কম। অর্থমন্ত্রী আজ বোঝাতে চাইলেন, দেশে আর্থিক সঙ্কট নেই!