দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
সেদিন নিজের বক্তব্যে মহারাষ্ট্রে মধ্যরাতের নাটকের গোটা প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছিলেন হেগড়ে। বলেছিলেন, ‘আপনারা সকলে জানে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে আমাদের লোক মাত্র ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এখন প্রশ্ন হল কেন আমরা এই নাটক করতে বাধ্য হলাম। আমরা তো জানতাম আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাহলে কেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হল, সকলেই এই প্রশ্ন করছেন। আসলে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে পাওয়া ৪০ হাজার কোটিও বেশি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে ছিল। যদি এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনার জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে নিশ্চিতভাবে ওই টাকা উন্নয়নের কাজে ব্যয় হতো না। অন্য কাজে তা লাগানো হতো। সেই কারণেই আগে থেকে পুরো পরিকল্পনা করে রাখা হয়। যখনই আমরা জানতে পারলাম তিন দল মিলে সরকার গঠন করতে চলেছে তখনই সিদ্ধান্ত হয় এই নাটক করার। সেই অনুযায়ী সব বন্দোবস্ত করে শপথগ্রহণ হয়। তার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে ফড়নবিশ ওই টাকা সুরক্ষিত রাখতে তা যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুরো টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে হইচই শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। যার জেরে এদিন মুখ খুলতে বাধ্য হন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এই দাবি একেবারেই মিথ্যা এবং আমি পুরোপুরি এর বিরোধিতা করছি। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্থা বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। মহারাষ্ট্র সরকারের কাজ সেখানে শুধু জমি অধিগ্রহণে সীমাবদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও অনুদান ফিরিয়ে দিতে বলেনি। মহারাষ্ট্র সরকারও কোনও অনুদান ফেরত পাঠায়নি। মুখ্যমন্ত্রী বা তদারকি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় আমি এমন কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। যাঁরা কেন্দ্র এবং রাজ্যের অর্থ ব্যবস্থা সম্পর্কে বোঝেন, তাঁরা জানেন যে এভাবে কোনও তহবিল হস্তান্তর হয় না। রাজ্য অর্থ দপ্তরের উচিত যথাযথ তদন্ত করে সত্য সকলের সামনে আনা।’ হেগড়ের মন্তব্যকে ভালোভাবে নেননি বিজেপির শীর্ষ নেতারাও। দলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ওই মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরক্তির কথা তাঁকে জানানো হবে। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করেছেন শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। তাঁর মতে, শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব অনুদান নিয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করবেন।