দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের অন্যতম সহ-অধিকর্তা বিমল রাওয়াত ওই চিঠি (No:-P-11/12/Misc./SST Misuse/2019-Rev.II) লিখেছেন দেশের সমস্ত ইএসআই আঞ্চলিক কার্যালয় এবং সাব-রিজিওনাল অফিসের আঞ্চলিক অধিকর্তা, অধিকর্তা এবং যুগ্ম-অধিকর্তাদের। যেখানে বলা হয়েছে, সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগ হওয়া কর্মীদের দেরিতে নাম নথিভুক্ত হওয়া নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ আসছে প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) দেরিতে জমা পড়া নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে নতুন চাকরি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই ইএসআইসিতে নাম নথিভুক্তকরণ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, চাকরি পাওয়ার ১০ দিন পরে কোনও কর্মী যদি অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করাতে চান, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন না। এমনই ব্যবস্থা করা হয়েছে ইএসআইসির অনলাইন সিস্টেমে। রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই।
ইএসআইসির অন্যতম ওই সহ-অধিকর্তার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর রেজিস্ট্রেশন করাতে চাইলে অনুমোদনের জন্য কর্মীকে অথবা সংস্থার কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয় অথবা সাব-রিজিওনাল অফিসে। যাবতীয় প্রমাণপত্র হয় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে ইমেল করতে হবে, অথবা সশরীরে হাজির হয়ে দিয়ে আসতে হবে। আর তাতে যদি নাম নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ব্যবধান প্রমাণিত হয় বা এই সংক্রান্ত অন্যান্য ইস্যু সামনে আসে, তাহলে ১৯৪৮ সালের ইএসআই অ্যাক্ট অনুসারে পদক্ষেপও করা হতে পারে। এমনিতে কাজে যোগ দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কোনও কর্মী অনলাইনে এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির জন্য নাম নথিভুক্ত করালে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই তিনি তাঁর ইনস্যুরেন্স নম্বর পেয়ে যান। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ইএসআই সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে ব্যবহার করতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘অনেকসময় ইএসআই কন্ট্রিবিউশন এড়ানোর জন্য কাজে যোগ দেওয়ার পরেই অনেকে নাম নথিভুক্ত করান না। অনেক সময় সংস্থা-প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। কিন্তু আচমকা চিকিৎসার প্রয়োজনে ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার হলে তড়িঘড়ি নাম নথিভুক্ত করানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্মীকে। তিনি আইনত ইএসআইয়ের আওতায় আসার অধিকারী হলে গ্রাহকও হয়ে যান। এহেন অনিয়ম আটকাতেই এই আইন প্রয়োগে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হচ্ছে।’ বর্তমানে দেশের যেসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ জন কর্মী রয়েছেন, সেগুলি ইএসআইসির অধীনে আসে। ওইসব কর্মীর মধ্যে যাঁদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আওতায় পড়েন।