দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এদিন নিজের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে বলেন, ‘আমি আপনাকে (ফড়নবিশ) বিরোধী দলনেতা বলব না। বরং আপনাকে ‘দায়িত্ববান নেতা’ বলব। যদি আপনি সেই সময় আমাদের কাছে ভালো হতেন, তাহলে এসব কিছুই (জোট ভাঙা) হতো না। আমি কখনও বলিনি যে আমি আবার ক্ষমতায় আসব। কিন্তু আমি বিধানসভায় এসেছি। আমি এই বিধানসভা এবং মহারাষ্ট্রের মানুষকে আশ্বস্ত করছি যে আমি মধ্যরাতে কখনও কিছু করব না। মানুষের স্বার্থে কাজ করব।’ তবে এরপরও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেছেন শিবসেনা প্রধান। উদ্ধবের কথায়, ‘আমি দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভালো বন্ধু। সেকথা কখনও আমি অস্বীকার করব না। আপনি আমাদের কথা শুনলে, আজ আমি বাড়িতে বসে টিভিতে সব কিছু দেখতাম।’ একমাসেরও বেশি সময় ধরে নাটকের পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনা প্রধান। তবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় উদ্ধব এখনও বিধানসভার সদস্য নন।
শুধু উদ্ধব নন, জোটের অনেক নেতাই এদিন ‘আমি ফিরে আসব’ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছেন ফড়নবিশকে। তার জবাবও দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম ফিরে আসব। কিন্তু তার জন্য কোনও সময় নির্দিষ্ট করে দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি একটি বিষয় বলতে চাই, আপনাদের আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।’ বিজেপির কাছে জনাদেশ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক পাটিগণিত জয়ী হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচনে ৪০ শতাংশ নম্বর পাওয়া দলগুলি সরকার গড়েছে। গণতন্ত্রের অংশ হিসেবে এটা আমরা মেনে নিয়েছি।’ শুধু তাই নয়, গত পাঁচ বছরে ঘোষণা করা বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় ক্ষমতায় ফিরে আসার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ফড়নবিশ।
অন্যদিকে, শিবসেনা মুখপত্র ‘সামনা’য় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ তথা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। ফড়নবিশের ক্ষমতায় ফেরার তাড়াহুড়ো, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং শিশুসুলভ মন্তব্য মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ডুবিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালের দপ্তরের কাজ নিয়েও তোপ দেগেছেন সঞ্জয়।