উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জানা গিয়েছে, আপকে সমর্থন না দেওয়ার ‘অপরাধে’ যে ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দিল্লির শাসক দলের ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে, সেই ব্যক্তি একসময় আপেরই কর্মী ছিলেন। কিন্তু পরে আম আদমি পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার, ১২ মে সন্ধ্যায়। দিল্লির জামিয়া নগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির অভিযোগ, দিল্লির ভোটগ্রহণ পর্ব মিটতেই আমানতুল্লা খান এবং তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করেন, কেন বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তিনি? এরপরেই আপের বিধায়ক এবং তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। আর এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
দিল্লিতে ভোট শেষ হয়ে গেলেও পাঞ্জাবের ভোটের কথা মাথায় রেখে আম আদমি পার্টিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে এদিন অভিযোগ করে বলা হয়েছে, এই ঘটনা থেকেই আপের মানসিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়। কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ হলে দিল্লির শাসক দলের একজন বিধায়ক এমন কাজ করতে পারেন, এই ঘটনায় সেটিই প্রমাণ হয়। শুধুমাত্র দলকে সমর্থন না দেওয়ার অপরাধে ওই ব্যক্তিকে এভাবে মারধর করা হয়েছে। দিল্লির মানুষের প্রকৃত অবস্থা সহজেই অনুমেয়। উল্লেখ্য, আজ থেকেই পাঞ্জাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্বাচনী সমাবেশ ছাড়াও এদিন পাঞ্জাবে রোড শোও করেছেন তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর, ওখলার বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা এহেন অভিযোগকে ওই রাজ্যের দলীয় নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করা হবে। আপের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেও তাঁর উপর হামলা করার অভিযোগ করেছিলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি তথা দলের লোকসভার সংসদ সদস্য মনোজ তিওয়ারি। দিল্লির সিগনেচার ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন মনোজ তিওয়ারি। যদিও আমানতুল্লা খান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন পর্বে দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে চরম নাজেহাল রয়েছে আপ। এবার সরাসরি দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধেই মারধর করার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠায় দিল্লির শাসক দলের বিপাক আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।