উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এই প্রচারপর্বে পাশে দাঁড়িয়ে স্ত্রী পুনম। এটাই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়! লখনউয়ের মতো কেন্দ্রে ডাকসাইটে মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী প্রার্থী তিনি। আর হ্যাঁ, মহাজোটেরও অন্যতম শরিক। ‘পতি ধর্ম’ পালনে লখনউ কেন্দ্রে পুনমের প্রচারে গিয়ে বিতর্ক কুড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। তাতে অবশ্য তাঁর কিছু যায় আসেনি। আর এবার পালা স্ত্রীর। সেখানে ভোট মিটতেই পুনম হাজির স্বামীর প্রচারে। সভা শেষে একান্তে পাওয়া গেল বিহারীবাবুকে। বললেন, ‘আসলেঅটলবিহারী বাজপেয়ি-লালকৃষ্ণ আদবানির যুগে বিজেপির মধ্যে গণতন্ত্র ছিল। তারপর দেখলাম, দলে ওয়ান ম্যান শো ইন টু ম্যান আর্মি। মোদির সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু আমার কাছে দেশ আগে। কোথায় গেল প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি? বছরে দু’কোটি চাকরির ঘোষণা পূরণ হল? আর, আচ্ছে দিনের স্বপ্ন? আসলে গত পাঁচ বছর ধরে কেবল বিদেশ সফর আর প্রচার হয়েছে। কাজ করবেন কখন! মোদি কখনও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। ছিলেন প্রচারমন্ত্রী! কেন্দ্রে এবার পরিবর্তন চাই।’
আর ২০১৪ সালে বিজেপি সরকারে আসার পর থেকেই ক্ষমতার এই একমুখীকরণ রীতিমতো নাপসন্দ শত্রুঘ্নর। যখনই সুযোগ পেয়েছেন, পাটনা সাহিবের ‘বেতাজ বাদশা’ তোপ দেগেছেন মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে। দল বদল প্রসঙ্গে সরাসরি বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু শেষমেশ কংগ্রেসকেই বেছে নিলাম।’ কিন্তু এই একই কেন্দ্রে প্রার্থী? উত্তর এল গানে, ‘জিনা ইয়াহাঁ, মরনা ইয়াহাঁ, ইসকে সিবা জানা কাঁহা!’ আবার ফিরলেন মহাজোটের প্রসঙ্গে। মমতার কথায়। স্পষ্ট বললেন, ‘মমতা দিদি ঠিক কথাই বলছেন। এই সরকারের এক্সপায়ারি ডেট এসে গিয়েছে। এবার যাওয়ার পালা।’ পাটনায় কী হবে? সভা শেষ হলেও বিরাম নেই সমর্থকদের স্লোগানে। তাঁদের দিকে তাকিয়ে বিহারীবাবুর বক্তব্য, ‘দেখছেন তো! জনতা এবার আর খামোশ থাকবে না। জবাব দেবে ১৯ মে। ভোটযন্ত্রে। আর লিখবেন, ফল বের হলেই কলকাতায় যাব। সেলিব্রেশন হবে।’