উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এদিন ডায়মন্ডহারবার থেকে হেলিকপ্টারে নৌসেনা প্রধান গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সেও আসেন। তাঁরা সেখানে কাজ চলা বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজের কাজ ঘুরে দেখেন। কীভাবে শিপইয়ার্ডকে আরও উন্নত ও আধুনিক করে তোলা যায়, সেব্যাপারেও কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০.২১ একর জমি উপরে এই এসএসবি তৈরি করা হয়েছে। দেশের মধ্যে চারটি জায়গায় এই এসএসবি রয়েছে। কোয়েম্বাটুর, বেঙ্গালুরু, বিশাখাপত্তনম ও ভূপালে। পঁচ নম্বর এসএসবি তৈরি করে দেশের নৌবাহিনীর মানচিত্রে ডায়মন্ডহারবার অন্য জায়গা করে নিল। দেশের নৌসেনা প্রধান বলেন, জাতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধিতে সমুদ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই সামুদ্রিক অর্থনীতি আরও উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠবে। সেই বিষয়টিকে আমরা বরাবর মাথায় রেখে চলছি। তাই যাবতীয় পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে আরও বেশি করে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে এই এসএসবি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝে দু’বছর আইনি জটিলতায় তা আটকে যায়। প্রায় ন’বছর পর কাজ শেষ হল।
নৌসেনার এক কর্তার কথায়, ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই এসএসবি-তে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের। প্রতিটি ব্যাচে ১৬০ জন করে থাকবেন। মেয়েদের জন্য ৩২টি এবং ছেলেদের জন্য ১২৮টি আসন রাখা হবে। নৌসেনা প্রধান এদিন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির যুবদের দেশসেবায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে। সেনায় এঁরা যাতে আসতে পারেন, তার জন্য ‘লুক ইস্ট’ নীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি বলেন, মেয়েদেরকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম সারিতে নিয়ে আসা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণও। নতুন অধ্যায় তৈরিতে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান নৌসেনা প্রধান।