উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্য সভা থেকে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর এক’ বলেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধীরা। বাবার অপমান সহ্য করেও প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তাই দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সৌজন্য দেখাতে পিছপা হননি তাঁর বোনও। সোমবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ইন্দোর বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময়ই তাঁর কনভয় দেখে রাস্তার ধারে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান তুলেছিলেন কয়েকজন। ছিলেন কয়েকজন কমবয়সি ছেলেও। কংগ্রেস নেত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। আচমকাই কনভয় থামিয়ে নিজের গাড়ি থেকে নেমে সোজা সেই বিজেপি সমর্থকদের দিকে হেঁটে যান কংগ্রেস নেত্রী। বিপদের গন্ধ বুঝে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি রক্ষীরাও ছুটে আসেন। কিন্তু সকলকে অবাক করে হাসতে হাসতেই মোদিভক্তদের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। বলেন, ‘আপনারা আপনাদের জায়গায় আর আমি আমার জায়গায়। অল দ্য বেস্ট।’
প্রিয়াঙ্কার এই আচরণে হতচকিত হয়ে যান মোদি সমর্থকরা। শুভেচ্ছা জানিয়ে গাড়িতে ওঠার আগেও একবার হাসিমুখে তাঁদের বিদায় জানান সোনিয়া-কন্যা। সম্বিত ফিরে পেয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বলে ওঠেন, ‘আপনাকেও.. বেস্ট অফ লাক।’ একজনকে সোনিয়া-কন্যার ছবি তুলতেও দেখা যায়। সোমবার রাত থেকেই প্রিয়াঙ্কার ‘গান্ধীগিরি’র ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই প্রথম মধ্যপ্রদেশে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এসেই এমন একটি কাজ তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল ওই ঘটনার পর ইন্দোরে রোড শো করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এর আগে দুপুরে মধ্যপ্রদেশের রতলামে এক জনসভায় নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙিয়ে মানুষের মধ্যে যেতেও দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মত, প্রিয়াঙ্কার মতো সদ্য রাজনীতিতে আসা একজন যেভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামাল দিলেন তা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন দেশের তাবড় তাবড় রাজনীতিকরা।