উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এমনিতেই এবার গোড়া থেকে শুধুমাত্র রাজ্য বিজেপির পাঠানো সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার উপর ভরসা করছেন না অমিত শাহ-জে পি নাড্ডারা। নিজেদের করানো সমীক্ষা রিপোর্টের উপরও বিশেষভাবে নির্ভর করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি আবদেনপত্র খতিয়ে দেখে আদতে দলের শীর্ষ নেতারা বুঝে নিতে চাইছেন যে, কোথাও কোনওরকম জল মেশানো হচ্ছে কি না। বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘আবেদনপত্রগুলিতে মূলত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখতে চাইছেন, দলের সংশ্লিষ্ট টিকিট প্রত্যাশীর সঙ্গে সঙ্ঘের কতদিনের যোগাযোগ রয়েছে। যদি সঙ্ঘের সঙ্গে যোগাযোগ খুব বেশি না থাকে, সেক্ষেত্রে পার্টিতে কতদিন যুক্ত, দেখা হচ্ছে সেটিও। দলের হয়ে কতগুলি কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিয়েছেন, অপরাধের কোনও রেকর্ড আছে কি না, সবটাই খতিয়ে দেখে নিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।’
বিজেপির ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, এমনও হতে পারে, যে তিন বা চারজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নামের তালিকা দিল্লিতে পাঠানো হল, চূড়ান্ত লিস্টে তাঁর একজনও স্থান পেলেন না। পরিবর্তে রাজ্য বিজেপির সম্ভাব্য তালিকায় জায়গা না পাওয়া অন্য কোনও আবেদনকারী টিকিট পেয়ে গেলেন। সবটাই রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে। বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টির এহেন নয়া কৌশলে একপ্রকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দলের টিকিট প্রত্যাশীরা।
গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে অমিত শাহ-জে পি নাড্ডার বাড়িতে আলোচনা হয়। এরই ফাঁকে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছিলেন, প্রথম দু’দফার ভোটের একেকটি কেন্দ্রের জন্য সর্বাধিক পাঁচজন সম্ভাব্য প্রার্থীর প্যানেল তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পরবর্তী ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনজন করা হতে পারে।