দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ব্লক ভিত্তিক কৃষি মেলার আয়োজন শুরু হয়। কৃষি প্রসারের উদ্দেশ্যে এটা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় চাষিদের পরিচিত করা, ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে কৃষি মেলায়। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের জেলাগুলিতে এই কৃষি মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। এবার ২৮৬টি ব্লকে কৃষি মেলা হবে। ২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষি মেলাগুলি চলে। তিনদিন ধরে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষিমন্ত্রী ও দপ্তরের আধিকারিকরা মেলা পরিদর্শনে যান। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কমর্চারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকারের বিভিন্ন কৃষি কেন্দ্রিক ও সরকারি অন্যান্য প্রকল্পের প্রচারে মেলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন দপ্তরের কর্মীরা। কৃষি বিমা, কৃষক বন্ধু, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, গতিধারা, যুবশ্রী, রূপশ্রী, নির্মল বাংলা প্রভৃতি প্রকল্পের উপর ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। মহিলাদের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলি যাতে সক্রিয়ভাবে মেলায় অংশ নেয়, সেটা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে কৃষি দপ্তর।
কৃষিপণ্যের প্রদর্শনী হয় মেলাতে। সেরা তিনটি প্রদর্শনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীরা সার্টিফিকেটের সঙ্গে দুই হাজার টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক পুরস্কার পান। সেরা উৎপাদনের জন্য ব্লকের চাষিদেরও পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে মেলাতে।
কৃষি দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিদিন মেলাতে অন্তত ৫০ জন চাষিকে নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করতে হবে। সেখানে কৃষি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে চাষিদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ খাতে ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ব্যশবস্থা রাখতে বলা হয়েছে মেলায়। মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। স্টল, পানীয় জল, শৌচাগার প্রভৃতির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। আলোকসজ্জা, জেনারেটর প্রভৃতির জন্য বরাদ্দ থাকছে ২০ হাজার টাকা।
কৃষি মেলা আয়োজনের জন্য জেলা ভিত্তিক বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলাশাসক হবেন ভাইস-চেয়ারম্যান। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে চেয়ারম্যান ও বিডিওকে ভাইস চেয়ারম্যান করে ব্লক ভিত্তিক কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।