নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে গিয়ে আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজনৈতিক আন্দোলনের সতীর্থ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় অনেক ঘটনার কথা তুলে ধরলেন মমতা। শুক্রবার বিকেলে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে যান মমতা। ক্লাব প্রাঙ্গণে পৌঁছে প্রথমেই প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পুজোর উদ্বোধন করেন। সঙ্গে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুব্রতদার সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ছাত্র রাজনীতির সময় থেকে সুব্রতদার সঙ্গে আমি আছি। প্রতিদিন সকাল ৯টায় আমি সুব্রতদার বাড়িতে চলে আসতাম। ছাত্র রাজনীতির সেই দিন ভুলতে পারব না। এরপরই পুজো নিয়ে সুব্রতর কথা তুলে ধরেন মমতা। জানান, দুর্গাপুজোর এক মাস আগে থেকেই সুব্রতদা নাছোরবান্দা। নবান্নে গিয়ে পরে থাকতেন। আমি পুজো উদ্বোধনের কবে সময় দেব, সেটা জানতে চাইতেন। যতক্ষণ না সময় দিচ্ছি, আমায় ছাড়তেন না। ওইরকম প্রাণের মানুষ স্মৃতির সরণিতে থেকে গিয়েছেন।
এদিন প্রথমে ভবানীপুর শীতলা মন্দিরের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর একডালিয়া এভারগ্রিন, সিংহী পার্ক, বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, সমাজসেবী সঙ্ঘ, হিন্দুস্তান পার্ক, শিবমন্দির, মুদিয়ালি, ৬৬ পল্লি, বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ, ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো উদ্বোধন হয় মমতার হাত দিয়ে। ত্রিধারার পুজো প্রাঙ্গণ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৪০০ পুজো কমিটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার পুজোগুলির উদ্বোধনের সময় এলাকার পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পাঁশকুড়া, ঘাটাল সহ বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকায় জল নেমেছে কি না, তা জানতে চান সেখানকার প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। সেখানকার মানুষদের পাশে থাকবার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।