মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে জয়ন্ত সিংয়ের দলবল আড়িয়াদহ কেদার সিংহ রোডে কার্যত তাণ্ডব চালায়। স্থানীয় যুবক সায়নদীপ পাঁজাকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁকে বাঁচাতে এলে মা বুবুন পাঁজাকেও মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে জয়ন্ত সিং সহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এখনও দমেনি তার শাগরেদরা। অভিযোগ, কখনও তারা রাস্তা দিয়ে জোরে বাইক চালিয়ে, কখনও আবার দাঁড়িয়ে থেকে ঠান্ডা হুমকি দিচ্ছে। জয়ন্তর শাস্তির দাবিতে এলাকায় লাগানো একাধিক পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জয়ন্ত সিং যে ক্লাবে বসে রাজপাট চালায় তার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন প্রকাশ্যে এনেছেন সায়নদীপের কলেজ পড়ুয়া পিসতুতো বোন। ওই গ্রুপে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে কার্যত ঘরবন্দি ওই কলেজ ছাত্রী। চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। ছাত্রী বলেন, আমি দাদার উপর হামলার প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই ওরা ক্লাবের গ্রুপে আমাকে নিয়ে আলোচনা করছে। কেউ বলছে ধর্ষণ করবে, কেউ বলছে খুন করবে। আবার ওরা এলাকায় বলছে, জেলে আর কত দিন। সেখান থেকে বেরিয়ে এলে সবক’টার হিসেব নেওয়া হবে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।
জখম যুবকের বাবা বিমল পাঁজা বলেন, জয়ন্তকে স্করপিও গাড়িতে চাপিয়ে থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটাই প্রমাণ করে গ্রেপ্তার হলেও তার প্রভাব কতটা বেশি। তাছাড়া ঘটনার দিন ছেলের উপর প্রথম হামলা চালানো প্রীতম কাহার সহ তিনজনকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। সিসি ক্যামেরায় তাদের ছবিও দেখা গিয়েছে। জয়ন্ত ছাড়া পেলে কী হবে জানি না। যদিও কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অন্যায় করে কেউ ছাড় পাবে না। কামারহাটিতে দুষ্কৃতীরাজ বরদাস্ত করা হবে না।