দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে কাউন্সিলারের কাছে অভিযোগ আসার পর তিনি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেন। তারপরে এবিষয়ে আরও তদন্ত করার জন্য পুরসভার জল বিভাগের কাছে আবেদন করেন। অভিযোগ পাওয়ার পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাটি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি একটি বাড়ির পিছনের অংশে একটা আলাদা ঘর করেছে। সেখানেই মাটি থেকে জল তোলা হচ্ছে শক্তিশালী পাম্পের সাহায্যে। তারপরে তা বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিস্রুত করা হচ্ছে। পরিস্রুত সেই পানীয় জলকে বোতলবন্দি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, এভাবে জল তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারপরে সেই জল বিক্রি হচ্ছে, সেটাও সম্পূর্ণ বেআইনি।
ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই পুরসভার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওই ব্যবসায়ীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, ওই কারবার করার উপযুক্ত নথি পুরসভাকে দেখাতে হবে। উল্লেখ্য, এভাবে জল উত্তোলন করতে হলে স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (স্যুইড)—এর থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। সেই সঙ্গে কোনও এলাকায় ব্যবসা করতে গেলে পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়। অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী এরকম কোনও নথিও পুরকর্তাদের দেখাতে পারেনি। এরপরে সম্প্রতি পুরসভার পক্ষ থেকে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার পুরসভা এবং পুলিসের একটি দল সলুয়ার ওই কারখানায় গিয়ে মাটির তলা থেকে জল তোলা সহ তা বোতলবন্দি করে বিক্রি করার প্ল্যান্টকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে সল্টলেকের সুকান্তনগর এলাকায় পাঁচটি বাড়িতে একইভাবে শক্তিশালী পাম্প লাগিয়ে মাটির তলা থেকে জল তোলা হচ্ছিল। পুরসভা অভিযোগ পেয়ে সেই পাম্প বাজেয়াপ্ত করে। পাশাপাশি পুর আইন মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নোটিস ধরানো হয়।