বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সরকারি হাসপাতালে সন্তানের জন্মের পর সেই সংক্রান্ত শংসাপত্র বিভিন্ন পুরসভা ও কর্পোরেশন থেকে পেতে অনেকের জুতোর সুখতলা খয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য পুরসভায় পাঠানো এবং তারপর বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি হওয়া এবং সন্তানের অভিভাবকদের হাতে তা তুলে দেওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। পুরসভা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করে থাকে। সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সময়ে নথি না পাঠানোয় ১০ হাজারের মতো বাচ্চার জন্মের শংসাপত্র পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তাদের সমন্বয় বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে স্বাস্থ্য দপ্তরের পদস্থ কর্তাদের। তাঁরা বিষয়টির চটজলদি সমাধান করতে এবং হাসপাতালের মেডিক্যাল রেকর্ডস সংক্রান্ত বিভাগটিকে সম্পূর্ণভাবে অনলাইন করার নির্দেশ দেন হাসপাতাল কর্তাদের।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে হচ্ছে এই কাজ? উদাহরণস্বরূপ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শতাব্দীপ্রাচীন ইডেন বাড়িতে রয়েছে মা ও শিশুদের বিভাগ। সেখানে সন্তান হওয়ার পর ইমার্জেন্সি কাউন্টারে চলে আসছে সেই সম্পর্কিত তথ্য। সে তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সফটওয়্যারে বার্থ সার্টিফিকেটের তৈরি করা ফরম্যাটে বসিয়ে দিচ্ছেন হাসপাতালের কর্মীরা। ছুটির সময় সেই বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে বাচ্চাদের বাবা-মায়েদের। কিন্তু, সাধারণ প্রসবের দু’দিন এবং সিজারিয়ান প্রসবের পাঁচ-ছ’দিন পর ছুটির সময় বহু বাচ্চারই নামকরণ হয় না। সেক্ষেত্রে স্কুলে ভর্তি এবং অন্যান্য জরুরি দরকারে কী হবে?
বুধবার এ প্রসঙ্গে মেডিক্যালের সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, সেকথাও আমরা ভেবে রেখেছি। সন্তানের নামকরণের পর সেই নাম আমাদের এখানে জানালে, বার্থ সার্টিফিকেটে সন্তানের নামের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হবে। বার্থ সার্টিফিকেটে কোনও ভুলক্রুটি থাকলেও সংশোধন করা সম্ভব হবে একইভাবে। দুটি ক্ষেত্রেই সরকার স্বীকৃত পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে বলে জানান তিনি।