বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি গ্যারাজের পাশে হারান দাস সহ কয়েকজন গ্যারাজ কর্মী বটগাছের চারা পুঁতেছিলেন। গ্যারাজের কর্মীরা ওই চারাগাছের দেখভাল করতেন। অজান্তেই ওই বটগাছের পাশেই একটি অশ্বত্থ গাছ জন্মায়। সেই গাছেরও লালন পালনের দায়িত্ব পড়ে গ্যারাজ কর্মীদের উপর। দেখতে দেখতে দুটি গাছ তরতরিয়ে বড় হয়ে যায়। তাদের দীর্ঘায়ু কামনা ও পরিবেশ রক্ষায় গ্যারাজ কর্মীরা কিছু একটা করার পরিকল্পনা করছিলেন। পুরোহিতকে বিষয়টি তাঁরা জানান। পুরোহিত বট-অশ্বত্থের বিয়ের প্রস্তাব দেন। সেই মতো বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। পুরোহিতই বট আর অশ্বত্থ গাছের নামকরণও করেন। পাত্রীর বাবা হিসাবে কমল সরকার কন্যা সম্প্রদান করবেন বলে ঠিকঠাক। আর পাত্রের বাবার নাম সুপ্রকাশ নাগ।
গত দু’দিন ধরে ম্যারাপ বাঁধার কাজ চলছিল। সুন্দরভাবে ছাদনাতলা সাজানো হয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে খাবারের প্যান্ডেল করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকে শ্যামাশ্রীপল্লি, আনন্দনগর, অমরপুরী, মুড়াগাছা, মহিষপোতা, তালবান্দা এলাকার মহিলারা দল বেঁধে বিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির। নিয়ম মেনে এদিন সকালে সিঁদুর খেলা হয়েছে। ব্যান্ড বাজিয়ে আশপাশের এলাকার মহিলারা নতুন শাড়ি পরে কলসি নিয়ে জল সাজতে যান। গোধূলি লগ্নে বিয়ে। প্রণয়কে (বট) ধুতি, পাঞ্জাবি পরানো হয়। আর দেবারতিকে (অশ্বত্থ) সুন্দর শাড়িতে সুসজ্জিত করা হয়।
কথা হচ্ছিল বিপ্লব মণ্ডল নামে বিয়ের এক উদ্যোক্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের আয়োজন। প্রায় আড়াই হাজার নিমন্ত্রিত রয়েছে। খাবারের মেনুতে রয়েছে, খিচুড়ি, পাঁচ তরকারি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। এছাড়াও ব্যান্ড, ছাদনাতলা, প্যান্ডেল সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ রয়েছে। বট-অশ্বত্থের বিয়ে হচ্ছে জেনে সকলেই আমাদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন। নিয়মনিষ্ঠা মেনে এদিন বিয়ে চলছে। বৃহস্পতিবার, বিয়ের পরদিন বাউল গানের আয়োজন রাখা হয়েছে। অনেক কষ্টে ফোনে কনের বাবা কমল সরকারের সঙ্গে কথা বলা গেল। তিনি শুধু বললেন, মেয়ের বিয়ে বলে কথা, এলাহি আয়োজন। অনুষ্ঠানে যাতে ভুলভ্রান্তি না হয়, তাই সকাল থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। খুব বেশি কথা বলতে পারব না।