বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিনের কর্মিসভায় অসিতবাবু বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করে বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়েছিলাম লোকসভা নির্বাচনেও আমাদের সেই কাজ করতে হবে। যেহেতু একটি লোকসভা কেন্দ্রের আয়তন অনেক বেশি তাই সমস্ত জায়গায় প্রতিদিন প্রার্থীর যাওয়া সম্ভব নয়। প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসাবে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এবং পুরসভা এলাকায় কাউন্সিলারদের দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে হবে। অসিতবাবু বলেন, যে বুথগুলিতে আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছি সেখানে যেমন মার্জিন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে, তেমনি যে বুথগুলিতে আমরা হেরেছি বা অল্প ব্যবধানে জয়ী হয়েছি সেগুলিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম প্রস্তুতি হিসাবে ২০ মার্চের মধ্যে প্রতিটি বুথে কমপক্ষে ৫০টি করে প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লেখার নির্দেশ দেন। এছাড়াও এখন থেকেই পাড়া বৈঠকের জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দল প্রার্থী ঘোষণার আগেই চুঁচুড়া বিধানসভার অধিকাংশ জায়গায় দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করেছিল তৃণমূল। দল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিকাল থেকেই পুরসভা এলাকায় রত্না দে নাগের নাম লেখার কাজ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি ফ্লেক্স তৈরিরও বরাত দিয়ে দেয় তৃণমূল। নির্বাচনে কীভাবে প্রস্তুতির কাজ হবে তা চূড়ান্ত করতে এদিন সকালে চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় সহ সমস্ত কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করেন অসিতবাবু। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বৈঠকের পর এদিন বিকাল ৪ টা থেকে বিধানসভা এলাকায় থাকা পোলবা-দাদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিয়া পাত্র, চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ দাস, গুরুত্বপূর্ণ কর্মাধ্যক্ষ ও ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। দু’টি বৈঠকেই অসিতবাবু জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বিধানসভা থেকে কমপক্ষে ৬০ হাজার লিড দিতে হবে বলে কর্মীদের টার্গেট বেঁধে দেন। যা গত বিধানসভা নির্বাচনে অসিতবাবুর মার্জিনের প্রায় দ্বিগুণ।