বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সাংগঠনিকভাবে বিজেপি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছে। একটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা পশ্চিম। মথুরাপুর ও ডায়মন্ডহারবার দু’টি লোকসভা কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা পশ্চিম জেলার মধ্যে পড়েছে। ইতিমধ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। সংসদ সদস্য চৌধুরি মোহন জাটুয়া এবারও এই কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবে প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে শাসকদল এগিয়ে থাকলেও এ ব্যাপারে পিছিয়ে বিজেপি। যদিও বুধবার মন্দিরবাজারের একহাজার কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বিজেপির রাজ্য নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বলেন, প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সংগঠনের প্রচারের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, মোদিজির স্লোগান হল, দেশ রক্ষার জন্য দল তারপর প্রার্থী। তাই মনে রাখতে হবে বিজেপি সেই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের মর্যাদা রক্ষায় এই ভোটে নেমেছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রচারের মূল সুর হল, কেন্দ্রে স্থায়ী ও অস্থায়ী সরকারের মধ্যে তফাতের বিষয়টি। তা ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শুধু তাই নয়, স্থায়ী সরকার হলে প্রধানমন্ত্রীর পদে একজন বসবেন। অস্থায়ী মিলিজুলি সরকার হলে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার একাধিক। কারণ, বিরোধী দলের মধ্যে কোনও সর্বসম্মত মুখ নেই। ফলে চেয়ারের বদলে চাটাই নিয়ে দিল্লিতে লড়াই বেধে যাবে।
এদিনের বৈঠকে হাজির রাজ্য দলের সহ-সভাপতি ও জোনাল পর্যবক্ষেক সুভাষ সরকার, হরিকৃষ্ণ দত্ত, জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস, সহ-সভাপতি সুফল ঘাটুঁ আঞ্চলিক কার্যকর্তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক কর্মসূচিকে আটকে দেওয়া নিয়ে মমতার সরকারের পদক্ষেপের বিষয়টি জনসমক্ষে লাগাতার প্রচারে আনতে বলেন। বিশেষ করে ৫ লাখ টাকার ক্যাশলেস স্বাস্থ্য প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারতকে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ করে দিয়ে তৃণমূল সরকার আমজনতাকে বঞ্চিত করার বিষয়টি প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় চলা প্রকল্পের নাম বদলে রাজ্য নিজের বলে চালাচ্ছে প্রচারে তাও আনতে বলা হয়েছে। বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নামখানায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের দেয় ২২৫ কোটি টাকা খরচে সেতু নির্মাণ হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে অন্ধকারে রেখে তড়িঘড়ি সেই সেতুর উদ্বোধন করেছে রাজ্য সরকার। তাও প্রচারে আনার জন্য বলা হয়। আগামী ১৭ মার্চ ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে একইভাবে প্রচার হবে।