বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বুথে বুথে বৈঠক করে গত বিধানসভা ভোটের মার্জিন ধরে রাখার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীরাও নিজেদের পালে হাওয়া টানতে চেষ্টার কসুর করছে না। যদিও ফলাফল জানার জন্য ২৩ মে অপেক্ষা করতে হলেও ভোটের আঁচ যে এখন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে, তা স্পষ্ট। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হবে। এখন বুথস্তরে ছোট ছোট বৈঠক করে রণকৌশল ঠিক করা হচ্ছে।
ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জয়ের মার্জিন বাড়ানোই আমাদের সব সময়ই লক্ষ্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। গত ৭ বছরে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে গ্রামাঞ্চলের উন্নতি হয়েছে, তা আগে হয়নি। উন্নয়নকে সামনে রেখেই আমাদের লড়াই। যদিও বিরোধীরা সেই দাবি মানতে চায়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, এতই যদি উন্নয়ন হয়ে থাকে, তাহলে গত পঞ্চয়েত ভোটে জোর করে, বিরোধীদের মারধর করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়ল কেন? যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানেও বিরোধীদের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি। মানুষ সব দেখেছে। এবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ফল অন্য হবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার জানিয়েছেন, তৃণমূল গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। সেই কারণে মানুষ তাদের উপর বিরক্ত। আর উন্নয়ন বলতে তো শুধুই উৎসব আর মেলা। কর্মসংস্থানের কোনও ব্যবস্থা করেনি। গ্রামাঞ্চলে এখনও কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। তাই ভোট হলে মানুষ বামপন্থীদের ফের ফিরিয়ে আনবে।
শ্রীরামপুর লোকসভার অধীনে এই দু’টি বিধানসভা প্রতিবছর নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে জগৎবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ হাজার ও ডোমজুড় থেকে প্রায় ৪০ হাজার লিড পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূলের এই দু’টি কেন্দ্রে বেড়েছিল। ওই বছরের বিধানসভা ভোটে জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল ২৫ হাজার ভোটে জয়ী হলেও ডোমজুড় থেকে তৃণমূল প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ১ লক্ষ ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে রাজ্যের মধ্যে রেকর্ড করেন। এবারের লোকসভা ভোটে তার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গত বিধানসভা ভোটে যে বুথে যত লিড ছিল, সেখানে সেই লিডই রাখতে স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হবে। সেখানে লিড কমে গেলে তার কারণ ওই বুথ সভাপতিকে জানাতে হবে।
যদিও বিরোধীরা পাল্টা চ্যালেঞ্জের রাস্তায় গিয়েছে। বিরোধীরা জানিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল যেভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, তাই মানুষকে বোঝানো হবে। গত পঞ্চায়েত ভোটে মানুষকে যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি, তা মনে করিয়ে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হবে।