বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি পেশায় হকার। গড়িয়াহাটেই ব্যবসা করেন। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানালেন, হাতিবাগানের হরি শা হাটে তিনি ভোরে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গড়িয়াহাটে ব্যবসার কাজে যুক্ত। এদিন বাঘাযতীনে সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে খবর যেতেই তাঁর স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাড়িতে তাঁর ছোট সন্তান রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, দীর্ঘক্ষণ ধরেই ওই বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলছিল। সকালের রাস্তা হওয়ায় গতিতে কোনও রাশ ছিল না। তবে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড আসার আগেই তড়িঘড়ি নামতে যান সঞ্জয়বাবু।
এদিন শহরের আরও দু’টি জায়গাতে বাস থেকে নামতে গিয়ে পাদানি থেকে দু’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এদিন বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ তপসিয়া গোবিন্দ খটিক রোড লাগোয়া পার্ক সার্কাস কানেক্টরে একটি বেসরকারি রুটের বাসের পাদানি থেকে পড়ে গিয়ে জখম হন জি জে খান রোডের বাসিন্দা গুলাম রসুল। তাঁর বাঁ পায়ে আঘাত লাগে। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। একই ধরনের ঘটনা ঘটে খোদ কলকাতা পুলিসের সদর দপ্তর লালবাজারের সামনে। এই ঘটনায় আবার কলকাতা পুলিসের অ্যান্টি স্ন্যাচিং স্কোয়াডের সাব ইন্সপেক্টর নীলাঞ্জন কুমার মণ্ডল জখম হয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, এদিন তিনি লালবাজারের সামনে বাস থেকে নামতে যান। সেই সময় আচমকাই বাসটি গতি বাড়িয়ে দেয়। তখনই তিনি পাদানি থেকে পড়ে যান। ডান পায়ে তাঁর আঘাত লাগে। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিস দু’টি ঘটনাতেই বাসকেই আটক করেছে। পুলিসের কথায়, বাস চালকদের বারবার সক্রিয় করা হচ্ছে। এমনকী, যাত্রীদেরও হুঁশ ফেরানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু সিংহভাগ ক্ষেত্রেই অমনোযোগের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে এই বিষয়টিতে সচেতনতা বাড়ানে বেশি করে সক্রিয় হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিস।
এই ঘটনার আধ ঘণ্টা আগেই আরও একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক স্কুটি চালকের। বুধবার ভোরে প্রগতি ময়দান থানার অদূরে মাঠপুকুর সংলগ্ন ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের উপরে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ওই স্কুটি চালকের। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ ইয়াসিন আলি গাজি (৭০)। বাড়ি তিলজলার জি জে খান রোডে। পুলিস জানিয়েছে, স্কুটি নিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। গাড়ির গতি অত্যন্ত দ্রুত থাকায় ওই স্কুটি আরোহী অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েন। তিনি হেলমেট পরে থাকলেও তাঁর শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।