পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
‘পিঙ্ক বুক’ থেকে জোনওয়াড়ি রেল প্রকল্পের বরাদ্দ হ্রাস-বৃদ্ধির পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়। এখানে কোনও প্রকল্পের উল্লেখের অর্থ হল ধীরে হলেও সেই কাজ শেষ করতে হবে মন্ত্রককে। কিন্তু গত জুলাই মাসে পূর্ণাঙ্গ সাধারণ বাজেট পেশের পরে রেলের পিঙ্ক বুক প্রকাশ করেনি মোদি সরকার। বিভিন্ন জোন সার্বিকভাবে বিবৃতি দিয়েই দায়িত্ব সেরেছিল। শেষবার সেটি প্রকাশিত হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশের কয়েকদিন পরে। অথচ কেন্দ্রের সাধারণ বাজেট পেশের পর পিঙ্ক বুক প্রকাশ্যে আনাই দস্তুর। তাহলে কি এবার পাকাপাকিভাবে সেই ‘প্রথা’ ভাঙতে চলেছে রেল? শুরু হয়েছে চর্চা।
এই প্রসঙ্গে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘পিঙ্ক বুক আমাদের প্রকাশ করতেই হবে। তবে সেটি সাধারণ মানুষের জন্য প্রকাশ করা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’ কিন্তু কেন পিঙ্ক বুক ‘গোপন’ রাখতে চাইছে রেল মন্ত্রক? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রেলের বিভিন্ন প্রকল্পে নামমাত্র অর্থ বরাদ্দ জানা যায় এই পিঙ্ক বুক থেকে। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয় না। সম্ভবত তা এড়াতেই রেলের এমন চিন্তাভাবনা।
জুলাইয়ের অন্তর্বর্তী বাজেটে বাংলার একাধিক রেল প্রকল্পে নামমাত্র বরাদ্দ করা হয়েছিল। বহু ক্ষেত্রেই এর পরিমাণ ছিল মাত্র এক হাজার টাকা। এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, জমি জটে বাংলার বহু রেল প্রকল্প আটকে রয়েছে। প্রকল্পে অগ্রগতি না হলে তার জন্য বাজেট বরাদ্দও করা হয় না। প্রতীকী বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পটিকে জিইয়ে রাখা হয় মাত্র। রেল সূত্রের খবর, এবারেও একই যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে।