পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
সদ্য সমাপ্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রেশন ডিলারদের কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রবীণ তৃণমূল এমপি সৌগত রায়। খাদ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীভাই বামভানিয়া ওই প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ডিলারদের কমিশন, ভাতা হিসেবে কত টাকা পাবে, তা ঠিক করার ব্যাপারে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী কেন্দ্রের ভূমিকা সীমাবদ্ধ রয়েছে রাজ্যে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর খরচ ও কমিশনের একটা অংশ দেওয়ার মধ্যে। ডিলাররা কত টাকা পাবে, সেটা রাজ্য সরকার ঠিক করতে পারে। যে পরিমাণ টাকা দেওয়া নির্ধারিত, তার অতিরিক্ত ডিলারদের দিলে অসুবিধা নেই। কিন্তু এই অতিরিক্ত আর্থিক দায় পুরোটাই রাজ্যকে নিতে হবে।
আইন অনুযায়ী ডিলারদের কমিশন শেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ওই সময় পশ্চিমবঙ্গের মতো সাধারণ শ্রেণির রাজ্যগুলিতে প্রতি কুইন্টাল খাদ্যশস্যের জন্য ডিলারদের কমিশন ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকা করা হয়। ই-পস যন্ত্র ব্যবহারের জন্য বিশেষ কমিশন ১৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২১ টাকা। রাজ্যের মধ্যে পরিবহণ খরচও তখনই শেষবার বাড়ানো হয়েছিল। সাধারণ শ্রেণির রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই খরচের অর্ধেক অর্থাৎ মূল কমিশন খাতে ৪৫ টাকা কিন্তু রাজ্য সরকারকে দিতে হয়। তবে এর বাইরেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুয়ারে রেশন পরিষেবার জন্য ডিলারদের প্রতি কুইন্টালে অতিরিক্ত ৭৫ টাকা কমিশন দেয়। তাছাড়াও ৫ হাজার টাকা বিশেষ অনুদান দেওয়া হয় দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি ঠিকমতো কার্যকর করলে। সবচেয়ে বড় কথা, জাতীয় প্রকল্পের অধীনে থাকা রেশন গ্রাহকদের জন্যও রাজ্য সরকার এই অতিরিক্ত কমিশন দিয়ে থাকে।
কোনও কোনও রাজ্য অবশ্য দুয়ারে সরকারের মতো কর্মসূচি না থাকলেও ডিলারদের অতিরিক্ত কমিশন দিয়ে থাকে। কিছু রাজ্যে রয়েছে কুইন্টালে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমিশনও। ফলে সর্বভারতীয় স্তরে রেশন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধির দাবি জোরদার হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্র কমিশন না বাড়ালে তাঁরা নতুন বছরে বড় মাপের আন্দোলনে নামবেন। অথচ, কেন্দ্র এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতেই নারাজ!