পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
করোনা আবহে সংকীর্ণ গর্ভগৃহের ভিড় কমাতে লাইভ টেলিকাস্টের মাধ্যমে তারাপীঠ মন্দির চত্বরে দেবী তারার পুজো ও মুখ দর্শনের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব তুলেছিলেন সেবাইতদের একাংশ। তাঁদের মতে, এতে গর্ভগৃহে ভক্তদের হুড়োহুড়ি কমবে। অবশেষে এক ভক্তের আর্থিক দান ও মন্দির কমিটির সহযোগিতায় অফিসের ছাদে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়। ২০২২ সালের কৌশিকী অমাবস্যার আগে ওই জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দেবীর পুজো ও আরতি দেখানোর ব্যবস্থা হয়। কিন্তু তারপর থেকে শুধুমাত্র সন্ধ্যারতির সময় সেই জায়ান্ট স্ক্রিন চালু করা হয়।
বর্তমানে পর্যটন মরশুমে হাজার হাজার ভক্তের ঢল নামছে বামাখ্যাপার এই সাধনাস্থলে। সেই সঙ্গে পয়লা পৌষ থেকে মন্দিরের নিয়মে বদল ঘটেছে। আগে টাকা ফেললেই চটজলদি গর্ভগৃহে ঢুকে দেবীদর্শন করতে পারতেন অনেকে। কিন্তু প্রশাসনের কড়া নির্দেশে তা বন্ধ হয়েছে। সেই সঙ্গে গর্ভগৃহে ছবি তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অধৈর্য হয়ে পড়ছেন পুণ্যার্থীরা। বিশেষ করে বয়স্করা সমস্যায় পড়ছেন। তাই পর্যটকদের একাংশ চাইছেন সারাক্ষণই জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দেবীর মুখ ও পুজো দর্শনের সুযোগ করে দিক মন্দির কমিটি। কলকাতা থেকে আসা দেবদুলাল দাস বলেন, সকলের তো ৫০০ টাকা করে দিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। তাই জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে যদি সারাক্ষণ দেবীর মুখ ও পুজোপাঠ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আমাদের মতো অনেক পুণ্যার্থীর সুবিধা হয়। পর্যটকরা বলেন, গর্ভগৃহকে অক্ষত রেখে নীচে রান্না ও খাওয়ার জায়গা করা হয়। সেখানে ভোগঘর ও ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেইজায়গা ব্যবহার না করে মন্দিরের সামনের চাতালে, শিব, নারায়ণ ও গণেশ মন্দিরের সামনে ভোগ খাওয়ানো হচ্ছে। এমনিতেই ভিড়ে দাঁড়ানোর জায়গা নেই। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
যদিও ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, মন্দিরের সামনে ভোগ খাওয়ানো এখন বন্ধ আছে। পাশে খাওয়ানো হচ্ছে। ভক্তদের দাবি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।