পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
রবিবার ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সিপিও। পাসপোর্ট যাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে ভর্ৎসনা মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিস। পরিপ্রেক্ষিতে এদিন রাজ্য পুলিস জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, পুলিসের দায়িত্ব, শুধুমাত্র পাসপোর্ট আবেদনকারীর নাগরিকত্ব ও কোনও অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে কি না, তা যাচাই করা। সেজন্য প্রয়োজনে আবেদনকারীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ নাও করতে পারে পুলিস। আবার সেই গাইডলাইনেই উল্লেখ রয়েছে, পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করবে শুধুমাত্র পাসপোর্ট অফিস বা পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র। পুনরায় সেই তথ্য যাচাই করবে না পুলিস। তথ্য যাচাই না করলে আবেদনকারী নাগরিকত্বের প্রমাণ দেবেন কীভাবে? ফলে এনিয়ে চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে থানা স্তর থেকে পুলিসের শীর্ষস্তর পর্যন্ত সর্বত্র।
এদিন ডিজি জানিয়েছেন, পরবর্তীতে পুলিসি যাচাই প্রক্রিয়ায় যদি কোনও ত্রুটি ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রে তার দায়ভার নিতে হবে সংশিষ্ট জেলার পুলিস সুপারকে। কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য কমিশনারেট এলাকার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের। অন্যদিকে, রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজীব কুমার। সীমান্তরক্ষীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে অবৈধ পথে বাংলাদেশিরা এদেশে ঢুকে পড়ছে, সেই নিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডিজি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তাঁর মন্তব্য ‘রাজ্য পুলিসেরর এসটিএফের গোপন সূত্রের ভিত্তিতেই ধরা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি জাভেদ মুন্সিকে। যেহেতু সে কাশ্মীরের কেসের অভিযুক্ত, তাই তাকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কাশ্মীর পুলিসের তরফে আগাম কোনও তথ্য ছিল না। জঙ্গি, নাশকতার ছক আটকানোয় বাংলা অনেকটাই সফল। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বা ঘটনা ঘটার আগেই ধৃতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ -নিজস্ব চিত্র