মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। বিপদাপন্ন মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ত্রাণসামগ্রী বণ্টন—সবটাই তদারকি করছেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। গত সপ্তাহে হাওড়া, হুগলির বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর সোমবার বর্ধমান, বাঁকুড়ায় দুর্গতদের মাঝে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বীরভূম জেলার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসে পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব, বীরভূমের জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায় এবং জেলার মন্ত্রী-বিধায়করা। বিভিন্ন প্রকল্প খাতে রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। অভিযোগ, বিরোধী শাসিত রাজ্য হওয়ায় বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বাংলার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিধায়ক ও সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়ক তহবিল এবং এমপি ল্যাডের বড় অংশের টাকা ব্যবহার করা হবে বন্যায় ভেঙে যাওয়া গ্রামীণ রাস্তা তৈরির কাজে। প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলবাড়ি মেরামতির জন্য ব্যবহার করা হবে এমপি ল্যাডের বাকি টাকা।
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এবং রাজ্যকে না জানিয়ে ব্যাপক পরিমাণ জল ছাড়ায় এদিন কেন্দ্রীয় নীতিকেই দায়ী করেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, এখন ডিভিসির বদলে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক। ডিভিসি বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি সংস্থা। তাহলে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জলশক্তি মন্ত্রক নেয় কীভাবে? তাহলে যে ডিভিসি তৈরি করা হয়েছিল মানুষের জীবন রক্ষার জন্য, সেই সংস্থার তো থাকা না থাকা সমান। তাই ডিভিসির সদর দপ্তর কলকাতা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেলেও রাজ্যের কিছু যায় আসে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কলকাতায় একটা বিল্ডিং পড়ে থাকবে, আর কলকাতার কথা না শুনে জল ছেড়ে বাংলার মানুষকে ডুবিয়ে মারবে, এটা হতে পারে না। জল ছেড়ে মানুষ মারে, এমন সংস্থা আমরা চাই না। তিনতলা সমান জল এসেছে এবার। এটা ভাবা যায় না।’ কিছুদিনের মধ্যে কেন্দ্র ডিভিসির বেসরকারীকরণ করে দেবে, এমনকী ইতিমধ্যে খদ্দেরও ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ‘যাঁরা প্রাণ হারাচ্ছেন, তাঁদের দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মালদার এক শ্রমিকের দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়ায় তাঁর মরদেহও বাড়িতে আনা যায়নি। কিন্তু এসব বিষয়ে কেন্দ্র নিশ্চুপ।’