মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত তারা পায়নি। অর্থাৎ প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয়ই তাদের মতে অপরাধী। সেই লক্ষ্যেই নির্যাতিতার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শুনানি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত শুরু করতে চাইছে তারা। গত ৪০ বছর ধরে বহু স্পর্শকাতর মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত ও চার্জশিটের ভিত্তিতে আদালতে শাস্তিদানের রেকর্ড রীতিমতো খারাপ। তারা বিলক্ষণ জানে, আর জি কর মামলা তাদের মুখরক্ষা করতে পারে। কারণ, অন্তত এই ক্ষেত্রে তাদের কাছে সুযোগ রয়েছে দেখানোর যে, মূল অপরাধের কিনারা সিবিআই দ্রুত করে ফেলেছে। সিবিআই দপ্তর তথা কেন্দ্রীয় শীর্ষ কর্তারা সেই অঙ্কেই লড়ে চলেছেন। যদিও ধর্ষণ-খুনে সঞ্জয় ছাড়া দ্বিতীয় কারও নাম চার্জশিটে না থাকলে কলকাতা পুলিসের তদন্তের নিরিখে কৃতিত্ব অনেকটাই যাবে। কারণ, সঞ্জয়কে সিবিআই গ্রেপ্তার করেনি। সেটা কলকাতা পুলিস করেছিল ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। সেই কারণেই সিবিআই এই ধর্ষণ-খুন মামলার চার্জশিটে ঘটনার বিবরণ, সন্দেহভাজনের ভূমিকার বিস্তারিত তথ্যের পাশাপাশি বেশি মাত্রায় উল্লেখ করবে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের। ওই অংশের জন্য কে বা কারা দায়ী, সেই তালিকা তৈরিতে দেরি হচ্ছে। কারণ, প্রতিটি অভিযোগের সপক্ষে এভিডেন্স অথবা সাক্ষী খাড়া করতে হবে। ন্যায় সংহিতার ৬৩ নং ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের অপরাধের তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দিতে হয় চার্জশিট। ৬৬ ধারা রুজু করা হয় ধর্ষণ এবং তার জেরে নির্যাতিতার মৃত্যু হলে। আর জি কর কাণ্ডে ধর্ষণের পাশাপাশি নির্যাতিতাকে হত্যাও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাই হত্যার মামলাও রুজু হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ধারায় মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হয়। আর সেই কারণেই ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় চার্জশিট দেওয়ার সময়সীমা ৯০ দিন। এবার যত দেরি হবে, ততই চাপ বাড়বে সিবিআইয়ের উপর। কারণ, এখন আর কলকাতা পুলিস নিশানায় নেই। নাগরিকদের নজরে সিবিআই এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স।