মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সোমবারই বোলপুরবাসী জেনে গিয়েছিল, রাত পোহালে ঘরে ফিরছেন কেষ্ট মণ্ডল। সকাল থেকেই তাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তুমুল ব্যস্ততা। ঘনঘন ফোন করে জেনে নিচ্ছিলেন দাদার ‘লোকেশন’। গাড়ি গুসকরা পেরিয়ে গিয়েছে বলে খবর হতেই দ্রুত ভিড় বাড়তে শুরু করে। তার আগেই অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছে সবুজ আবির খেলা। সঙ্গে চলছে জোর স্লোগান, ‘অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ’। কাঁটায় কাঁটায় সকাল ৯টায় গাড়ি এসে পৌঁছয় নিচুপট্টির বাড়ির সামনে। অনুব্রত গাড়ি থেকে নামতেই শুরু হয়ে যায় পুষ্পবৃষ্টি আর শঙ্খধ্বনি। কর্মী-সমর্থকদের আবেগের এই বিস্ফোরণ দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁকে আগলে নিয়ে ঘরে ঢোকেন সুকন্যা। এর মধ্যেই অনুগামী, সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না তিনি। সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা জানালেন। নিচুপট্টিতে তখন আক্ষরিক অর্থেই উৎসব!
বাড়িতে ঢুকে মিনিট দশেক বিশ্রাম নেন তিনি। তারপর তিনি অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঘনিষ্ঠরা তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিলেও তিনি বলেন, ‘ওরা আমার জন্য কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। একবার দেখা করে আসি।’ দরজা খুলে সামনের ভিড়ের উদ্দেশে হাত নাড়েন। জনতার দিকে পাল্টা ছুড়ে দেন ফুলের মালা। তারপর গিয়ে বসেন তাঁর সেই পুরনো চেয়ারে। আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। নিন্দুকরা বলে, ওই চেয়ারে বসেই বীরভূম ‘শাসন’ করতেন অনুব্রত। এহেন দাপুটে নেতার চোখে বারবার জল দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েন ওই ঘরে উপস্থিত তাঁর ঘনিষ্ঠরাও। তবে তিনি যে কয়েকজনের উপর বেশ ক্ষুব্ধ, হাবেভাবে এদিনই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অনুব্রত। ঘনিষ্ঠ একজনকে তিনি বলেন, ‘এই দু’বছর অনেকেই খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। ওরা ভেবেছিল, আমি আর ফিরব না। জেলেই পচে মরে যাব। সব উত্তর যথা সময়ে দেব।’