মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সম্প্রতি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) রিপোর্ট দিয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়নে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা খরচ করার পরও অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেন সময়ে চালাতে ব্যর্থ রেল। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর প্রকল্পের কাজ সময়ে শেষ করতে না পারায় সরকারের অতিরিক্ত ২ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই রিপোর্টকে অস্ত্র করেই এদিন বৈঠকে রেল বোর্ডের ২৪ এবং ক্যাগের ৮ জন অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়। সূত্রে খবর, প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে রেলের আধিকারিকরা যতই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, সাংসদদের তোপের মুখে চুপ করে যান। জানানো হয়, যাবতীয় উত্তর পরের বৈঠকে দেওয়া হবে।
তৃণমূলের পক্ষে পিএসি’র দুই সদস্য সৌগত রায় এবং সুখেন্দুশেখর রায় উপস্থিত ছিলেন। বন্দে ভারতের জন্য অন্য ট্রেন লেট এবং লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি, ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ কেন ১৬ বছর পরেও অসম্পূর্ণ, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। মালবাহী ট্রেনের জন্য লুধিয়ানা থেকে শোননগর লাইন হয়ে গেলেও, সেখান থেকে ডানকুনি ৫৩৮ কিলোমিটার কাজ বকেয়া। বৈঠকে রেল জানায়, পিপিপি মডেলে কোনও বেসরকারি উদ্যোগীদের পাওয়াই যায়নি। তাই কাজ অসম্পূর্ণ। তৃণমূলের দুই সাংসদ প্রশ্ন করেন, ‘বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে মালগাড়ি চলাচলেই যেখানে ২৬ শতাংশ রাজস্ব আসে, সেখানকার কাজই অসম্পূর্ণ? বেসরকারি উদ্যোগ পেতে রেল কী কী উদ্যোগ নিয়েছে?’
অন্যদিকে, অনুরাগ সিং ঠাকুর, নিশিকান্ত দুবে, তেজস্বী সূর্যর মতো বিজেপির এমপিরা রেলকর্তাদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন। সূত্রে খবর, অনুরাগ কিছুটা কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের পর থেকে নতুন করে কত আর লাইন জুড়েছে! আগে সময়ানুবির্ততার অভিযোগ কম উঠত, এখন কেন বেশি? পরিকাঠামো উন্নয়নে এত খরচ করে তাহলে লাভ কী?’ নিশিকান্ত দুবে, তাঁর ঝাড়খণ্ড এলাকার নতুন লাইন নিয়ে সওয়াল করেন। তেজস্বীর তোপ, ‘বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি নতুন লাইন বা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না কেন? ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন দুই ফ্রেট করিডর হলেও দক্ষিণে যেখানে কর্ণাটক, অন্ধপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর মতো শিল্প হাবের রাজ্য, সেখান থেকে কেন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর লাইন হবে না?’ শাসকদলের এহেন তোপ দেখে বৈঠকে অবাকই হন কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল।