মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
২৬ জুন, বেলা ১২টায় রাজভবনে দুই বিধায়কের জন্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান স্থির করেছিলেন রাজ্যপাল। সেইমতো শনিবার দুপুরে চিঠি যায় বরানগর থেকে জয়ী তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর সোমবার সকালে রাজভবন থেকে চিঠি পান ভগবানগোলা থেকে জয়ী তৃণমূলের রেয়াত হোসেন সরকার। তার প্রেক্ষিতে সায়ন্তিকা ও রেয়াত দু’জনেই সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যান। ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। বিধানসভায় তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন সায়ন্তিকা এবং রেয়াত। দলের সিদ্ধান্ত, জয়ী দুই প্রার্থীকে জানানো হয়েছে। রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে রাজি নন তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, বিধানসভার মর্যাদা ও গরিমা রয়েছে। তা যেন কোনোভাবেই এড়িয়ে না যায় রাজভবন। সায়ন্তিকা এই ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন যে, বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছেই শপথ নিতে চান তিনি।
তৃণমূলের একাধিক নেতা বলছেন, শপথ বাক্য পাঠ করাতে চাইলে রাজ্যপালই বিধানসভায় আসুন। এর আগে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন রাজ্যপাল বিধানসভায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধায়ক হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান। তৃণমূল নেতৃত্ব আরও মনে করেন, বিধায়কদের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করছেন।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিধানসভার অধ্যক্ষের অধিকারকে খর্ব করে রাজ্যপাল গায়ের জোরে সবকিছু করতে চাইছেন। দিল্লির নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে চলছেন তিনি। রাজ্যপাল ভুলেই গিয়েছেন যে তিনি স্রেফ একজন মনোনীত ব্যক্তি। আর বিধানসভার উপ নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে রাজ্যপালের এত লাফালাফির কোনও কারণ নেই। মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। তাঁর এত ঔদ্ধত্য আসে কোথা থেকে!
ফলে সামগ্রিকভাবে যা পরিস্থিতি তাতে রাজ্যপাল ২৬ জুন কাকে দিয়ে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন, রাজভবন তা জানানোর পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা।
অন্যদিকে, মাদারিহাটের বিধায়ক ছিলেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। তিনি এবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ছেড়েছেন বিধায়ক পদ। তাঁর জায়গায় বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।