পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
ফাডা’র তথ্য বলছে, গতবছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে দেশে মোট গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬১ লক্ষের বেশি। সংখ্যাটি ২০২৩ সালে ছিল প্রায় ২ কোটি ৩৯ লক্ষ। ওই সংগঠনের বক্তব্য, এই সাফল্য আসা সহজ ছিল না। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ, বর্ষায় সর্বত্র সুষ্ঠু বৃষ্টি না-হওয়া এবং লোকসভা ভোট ও একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোট সার্বিকভাবে বাজার বৃদ্ধির পরিপন্থী ছিল। কিন্তু সেই সঙ্কট যে শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে, পরিসংখ্যানে তারই প্রমাণ মেলে।
গাড়ির বাজার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে দু’চাকার গাড়ি। এক্ষেত্রে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি সুষ্ঠুভাবে যেমন দু’চাকা গাড়ির জোগান দিতে পেরেছে, তেমনই গ্রামাঞ্চলে চাহিদা ছিল যথেষ্ট ভালো, দাবি করেছে ফাডা। তবে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণের বাজার কিছুটা খারাপ ছিল বলে দাবি করেছে তারা। যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে বাজার তুলনামূলক ভালো যাওয়ার কারণ গাড়ির শোরুম ও বিপণন বৃদ্ধি, দাবি করেছে সংগঠনটি। ২০২৪ সালে দেশে মোট যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ ৭৪ হাজার। ২০২৩ সালের তুলনায় তা ৫ শতাংশ বেশি। গতবছর যেহেতু গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির তরফে অনেক বেশি গাড়ি শোরুমগুলিতে পাঠানো হয়েছিল, তাই লাভের অঙ্কের সঙ্গে বিক্রেতাদের কিছুটা আপস করতে হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে। বিক্রি বাড়াতে কিছুটা আর্থিক ছাড় দিতে হয়েছে সংস্থাগুলিকে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক গাড়ির বাজার ততটা ভালো যায়নি বলে দাবি করেছে ফাডা। তাদের বক্তব্য, যেহেতু অনেকটা সময় জুড়ে ভোট পর্ব চলেছে, তাই তা যেমন বাজার কিছুটা কমিয়েছে, তেমনই পরিকাঠামোগত খরচও গতবছর তেমন একটা বাড়েনি। তা প্রভাব ফেলেছে বাণিজ্যিক গাড়িতে।