মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
অনেকেই ভেবেছিলেন, চোট সারিয়ে ১৪ মাস পর ইডেনেই ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে ফের মাঠে নামবেন মহম্মদ সামি। কিন্তু তিন স্পিনার খেলানোর ফিরিস্তিতে সুযোগ হয়নি তাঁর। চিপকে এমনিতেই স্পিনাররা সুবিধা পায়। সেই অঙ্কে সামির প্রত্যাবর্তন আরও বিলম্ব হতে পারে। মনে হচ্ছে, টি-২০ স্কোয়াডে তাঁকে রাখার পিছনে কোনও সুচিন্তিত পরিকল্পনাই নেই নির্বাচকদের। এমনিতে তাঁর বয়স বেড়েছে। পরের টি-২০ বিশ্বকাপে খেলানো হবে কিনা, সেটাও লাখ টাকার প্রশ্ন। তাহলে সামিকে কেন টি-২০ স্কোয়াডে রাখা হয়েছে? এর পিছনে যুক্তি, তিনি ১৪ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, যা হবে ওয়ান ডে ফরম্যাটে। সামি ফিট হয়ে এখনও কোনও ম্যাচ খেলেননি। সরাসরি ওয়ান ডে সিরিজে দশ ওভার হাত ঘোরানোও ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে ফের চোট লাগার সম্ভাবনা থাকে। তাই টি-২০’তে চার ওভার বোলিংয়ের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হবে বাংলা দলের পেসারটিকে। সিরিজে এখনও চারটি ম্যাচ বাকি। লিড বাড়িয়ে নিয়ে সামিকে হয়তো সুযোগ দিতে চাইবেন কোচ গম্ভীর। এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতাও রয়েছে তাঁর কাছে। এক নম্বর পেসার যশপ্রীত বুমরাহ পিঠের ব্যথায় কাবু। তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনিশ্চিত। না খেললে সামির মতো অভিজ্ঞ পেসারের প্রয়োজন পড়বে। তার উপর মহম্মদ সিরাজ অফ ফর্মে। এই সব অঙ্ক মাথায় রেখেই সামিকে নিয়ে এগতে চাইছে ভারতীয় বোর্ড এবং টিম ম্যানেজমেন্ট।
সামিকে প্রথম একাদশে না রেখে ইডেনে নামা ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তবে তিন স্পিনার নিয়ে দল সাজিয়ে বাজিমাত করেছে টিম ইন্ডিয়া। গম্ভীরের সিদ্ধান্তকে অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেন বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর স্পিনের রহস্য উন্মোচনে পুরোপুরি ব্যর্থ ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। সেই সঙ্গে নতুন বলে অর্শদীপ সিংও অনবদ্য পারফরম্যান্স মেলে ধরেন। তবে সাফল্যের মাঝেও বেশ কিছু বিষয় ভাবাচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে রানের খরা চলছে। ইডেনেও তিনি ফেরেন খালি হাতে। হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে প্রচুর রান বিলোচ্ছেন। এই সমস্যা দ্রুত মেটানোই চ্যালেঞ্জ কোচ গম্ভীরের।