পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
জেআরডি টাটা কমপ্লেক্স খালিদ জামিলের দুর্গ। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচেও গুটিয়ে থাকার বান্দা নন কামিংসরা। প্রথমার্ধে ঢেউয়ের মতো আক্রমণে ঝাঁঝরা করে দিলেন জামশেদপুর রক্ষণকে। ১৮ মিনিটে আশিস রাইয়ের ওভারহেড লব পৌঁছয় ম্যাকলারেনের পায়ে। অজি বিশ্বকাপার রিসিভ করতে গিয়ে সামান্য ভুল করলেন। শরীর ছুড়ে ট্যাকেল করে নিশ্চিত বিপদ বাঁচান স্টিফেন এজে। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষ ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে থ্রু পাস বাড়ান কামিংস। এক্ষেত্রে বিপক্ষ গোলকিপারকে কাটিয়েও বল জালে ঠেলতে ব্যর্থ লিস্টন। ২৫ মিনিটে কঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় মোলিনা-ব্রিগেড। কামিংসের কর্নার আলড্রেড হেড করে নামিয়ে দেন। জটলা থেকে জাল কাঁপান শুভাশিস বসু (১-০)। চলতি টুর্নামেন্টে এটি তাঁর চতুর্থ গোল। বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে লিস্টনের কাছে। এক্ষেত্রে আলবার্তোর সোনায় মোড়া পাস খুঁজে নেয় গোয়ানিজ ফুটবলারকে। সবাইকে অবাক করে জাল কাঁপানোর বদলে বল বাইরে মারেন লিস্টন। প্রথমার্ধে উইথড্রন স্ট্রাইকারের ভূমিকায় অনবদ্য কামিংস। পেন্ডুলামের মতো দুলে তুর্কি নাচন নাচালেন জামশেদপুর ডিফেন্ডারদের। পাসের ফুলঝুরিতে তখন দিশাহারা সানান, জাভিরা।
চূড়ান্ত আধিপত্যের এই ছবিটাই বদলে গেল দ্বিতীয়ার্ধে। ৬০ মিনিটে ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে জামশেদপুরকে সমতায় ফেরান এজে। নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডারের লক্ষ্যভেদের দক্ষতা রয়েছে। নিজের অর্ধে বল ধরে প্রায় ৬০ গজের সোলো রানে ভেঙেচুরে সাফ মোলিনার রক্ষণ। বুলডোজারের মতো প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে জাল কাঁপালেন এজে (১-১)। আপুইয়া, টাংরিদের কার্যত বগলদাবা করে নিখুঁত ফিনিশে ত্রাতা হয়ে উঠলেন দলের। মোলিনা বাঘা তেতুঁল হলে খালিদও বুনো ওল। পয়েন্ট কাড়তে তাঁর জুড়ি নেই। বিপদ বুঝে দেরি না করে স্টুয়ার্টকে নামালেন সবুজ-মেরুন কোচ। কিন্তু ম্যাকলারেনকে রেখে কামিংসকে বসানোর যুক্তি বোঝা দায়। শেষদিকে পেত্রাতোসকে নামিয়েও গোলের দেখা মেলেনি। লিস্টন আর আপুইয়ার শট ফিস্ট করে বাঁচান আলবিনো গোমস। সংযোজিত সময়ে স্টুয়ার্টের পেনাল্টির দাবি নাকচ করেন রেফারি।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস, আলবার্তো, আলড্রেড, শুভাশিস, আপুইয়া, টাংরি, লিস্টন, মনবীর, কামিংস (স্টুয়ার্ট) ও ম্যাকলারেন (পেত্রাতোস)।
জামশেদপুর এফসি- ১ : মোহন বাগান- ১
(এজে) (শুভাশিস)